রাজকুমার কর্মকার, আলিপুরদুয়ার: ৫০ কোটি টাকার সমবায় দুর্নীতির তদন্তে আলিপুরদুয়ারে অফিস খুলল সিবিআই। প্যারেড গ্রাউন্ডের পাশে পুলিশের রিজার্ভ অফিসের দু’টি কামরা ব্যবহার করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার সিবিআইয়ের একজন ডিএসপি পদ মর্যাদার আধিকারিক অফিসের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখছেন। এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ওই আধিকারিক।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু আধিকারিকদের থাকার কোনও স্থায়ী ঘর ছিল না। তদন্তের স্বার্থে শহরে এলে আধিকারিকরা রেলের একটি বাংলো ব্যবহার করতেন। এই সমস্যার কথা তুলে ধরে স্থায়ী ঘরের জন্য জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আবেদন জানায় সিবিআই। আদালত জেলা পুলিশকে অফিস তৈরি জন্য ঘর দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
তারপরই পুলিশের তরফে প্যারেড গ্রাউন্ডের পাশে পুলিশের রিজার্ভ অফিসের দুটি কামরা সিবিআইকে ছেড়ে দিল। সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের এস আই এবং আর্মড ফোর্সের এস আইদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই কাজ দেখতে আসেন ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। তিনি ফিরে গেলেও এই অফিসে অন্য আধিকারিকরা থেকে কাজ করবেন বলে সূত্র মারফত খবর। সিবিআইয়ের আধিকারিক জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট এই সমবায় সমিতির দুর্নীতির সিবিআই ও ইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআই তদন্তের আগে এই মামলার তদন্ত করেছে সিআইডি ও ডিআইবি। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ জানায় স্থানীয় আরটিআই কর্মী অলোক রায়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে জেলা পুলিশের ডিআইবি পরে সিআইডি এই দুর্নীতির তদন্ত করেন। এই মামলায় একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করে সিআইডি।
কিন্তু প্রতারিত গ্রাহকরা অভিযোগ তোলেন, রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা ঠিকঠাক কাজ করছে না। তারপরই এই মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেয় আদালত। আরটিআই কর্মী অলোক রায় বলেন, “এবার সমবায় সমিতির তদন্তে গতি আসবে। সিবিআই অফিস খুলেছে। আমরা অভিযোগ করছিলাম যে সিবিআইয়ের সঙ্গে অনেকেই দেখা করে তথ্য দিতে চাইছে কিন্তু পারছে না। এখন সেই সমস্যা দূর হল। আমার সঙ্গে সিবিআই কর্তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।”