৪৮ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার কেঁপে উঠল রাজধানীর মাটি, কেন বারবার ভূমিকম্পের শিকার দিল্লি?

৪৮ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার কেঁপে উঠল রাজধানীর মাটি, কেন বারবার ভূমিকম্পের শিকার দিল্লি?

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্ক ছড়ায় হরিয়ানা ও দিল্লির বড় অংশে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৩.৭। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হরিয়ানার ঝাঁজর এলাকা। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের এই কম্পনে ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বার বার এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।

জাতীয় ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল রাজধানী দিল্লির থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার ঝাঁজর এলাকা। উৎসস্থল মাটি থেকে প্রায় ১০ কিমি নিচে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় হরিয়ানা ও দিল্লিতে। মাত্র ৩.৭ মাত্রার এই কম্পনে ক্ষয়ক্ষতি না হলেও দিল্লির মানুষ ভালোই টের পান এই ভূমিকম্প। উল্লেখ্য, এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। সেবারও কম্পনের মাত্রা ছিল রাজধানী থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার ঝাঁজর অঞ্চল। উৎসস্থল মাটি থেকে ১০ কিমি নিচে।

বারবার এই কম্পন প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের দাবি, দিল্লি এনসিআর ও তার আশেপাশের অঞ্চল যেমন ঝাঁজর, রোহতক জটিল ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনের উপর অবস্থিত। এর মধ্যে রয়েছে মহেন্দ্রগড়-দেরাদুন ফল্ট (MDF), দিল্লি-হরিদ্বার রিজ (DHR), দিল্লি-সারগোধা রিজ (DSR), দিল্লি-মোরাদাবাদ ফল্ট, সোহনা ফল্ট, মথুরা ফল্ট এবং রিভার্স ফল্ট (F1)। এই সমস্ত অঞ্চল হিমালয় ও স্থানীয় ভূতাত্ত্বিক গতিবিধি দ্বারা প্রভাবিত। এর মধ্যে মহেন্দ্রগড়-দেরাদুন ফল্ট, যা স্থিতিশীল ভারতীয় ক্র্যাটনকে সক্রিয় হিমালয়ান ফ্রন্টাল থ্রাস্টের সাথে সংযুক্ত করে। এটি হরিয়ানার মহেন্দ্রগড় থেকে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন পর্যন্ত বিস্তৃত। যা এনসিআরের ঘন বসতিপূর্ণ অঞ্চলের উপর দিয়ে চলে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, যার জেরেই এই অঞ্চলে বারবার মৃদু কম্পন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যার মাত্রা ২ থেকে ৪.৫। এর চেয়ে বড় ভূমিকম্প সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে দেখা যায়নি। তবে ভবিষ্যতে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা এখানে এড়িয়ে যাওয়া যায় না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *