৪৭ লক্ষ টাকা হাতিয়েও হল না শেষরক্ষা! দিল্লি থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ডিজিটাল অ্যারেস্টের পান্ডা

৪৭ লক্ষ টাকা হাতিয়েও হল না শেষরক্ষা! দিল্লি থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ডিজিটাল অ্যারেস্টের পান্ডা

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


অর্ণব আইচ: ডিজিটাল অ্যারেস্টের নামে প্রতারণা চলত। সেই তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়ছিলেন একের পর এক প্রতারক। এবার রাজধানী দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার হলেন চক্রের আরও এক পান্ডা। মাস তিনেক আগে গলফগ্রিনের এক বাসিন্দাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হয়েছিল। ক্রমাগত ভয় দেখিয়ে ৪৭ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন প্রতারকরা। ওই তদন্তে আগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

ঘটনার তদন্তে নেমে লালবাজারের তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন জাল অনেক দূর বিছানো আছে। কলকাতার আনন্দপুর, পাটুলি, এবং নরেন্দ্রপুর এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণা চক্রের লোকজন ঘাঁটি গেঁড়ে আছে। সেই তথ্যও পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এবার দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই চক্রের আরও এক মাথাকে। ধৃত ব্যক্তির নাম যোগেশ দুয়া (৩৬)। তাঁকে দিল্লির বিবেক বিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে কলকাতা নিয়ে আসা হচ্ছে।

পুলিশ দিল্লিতে অভিযান চালানোয় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসও উদ্ধার করেছে। দুটি মোবাইল, দুটি হার্ড ডিস্ক, একটি ল্যাপটপ, চারটি এটিএম কার্ড, দুই প্যান কার্ড উদ্ধার হয়েছে তার ফ্ল্যাট থেকে। মিলেছে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা। পাওয়া গিয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা, ডলার। যোগেশ দুয়ার ভাই আদিত্য দুয়াও এই প্রতারণার আরও এক মাথা। তাঁর খোঁজেও তল্লাছি চলছে বলে খবর। আদিত্য দুয়ার নামে পলিসি বন্ডের কাগজ মিলেছে বলে খবর। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তির নামে আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি আসল নাকি ভুয়ো, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে পুলিশ তদন্তে নেমে এই র‌্যাকেটের প্রধান অপারেটর হিসেবে চিরাগ কাপুরের নাম জানতে পারে। তাকে জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখে ব্যাঙ্গালোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওঙ্কার সিং নামে তার এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের সূত্র ধরে যোগেশ দুয়া ও আদিত্য দুয়ার নাম সামনে আসে। জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে কলকাতার গল্ফগ্রিনের এক বাসিন্দাদে ফোন করা হয়েছিল সিবিআইইয়ের নাম করে। তিনি মানব পাচার করছেন। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সঙ্গেও জড়িত। সেই কথা বলে ভয় দেখানো হয়। ডিজিটাল অ্যারেস্টের নামে ৪৭ লক্ষ টাকা ওই মহিলার থেকে নেওয়া হয়েছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *