সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেণ্ডুলামের মতো দুলতে থাকা একটা ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগ দেখতে দেখতে এ কথাই বলা যায়। রোমাঞ্চে ভরা বার্সেলোনা বনাম ইন্টার মিলান ম্যাচে সব মিলিয়ে হল হাফডজন গোল। খেলার ফলাফল ৩-৩। অর্থাৎ, দ্বিতীয় লেগে নামার আগে দুই দলই একই সারিতে দাঁড়িয়ে।
দর্শকরা ঠিকমতো থিতু হয়ে বসার আগেই এগিয়ে যায় ইন্টার। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে নজেল ডুমফ্রিসের কাছ থেকে পাওয়া নিচু একটা ক্রসে অনবদ্য গোল করেন মার্কাস থুরাম। ব্যাকহিল ফ্লিকে গোলটি করে একটি নজিরও গড়লেন থুরাম। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে এটাই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুততম গোল। যদিও এই ম্যাচে চোটও পেয়েছেন তিনি। যা দ্বিতীয় লেগে নামার আগে চিন্তায় রাখবে ইন্টার শিবিরকে।
এরপর নিজেদের ঘরের মাঠে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে বার্সা। খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়ে ২১ মিনিটের মাথায় অ্যাক্রোবেটিক ভলিতে গোল করে ইন্টারের পক্ষে ব্যবধান বাড়ান ডেনজেল ডমফ্রিস। ২ গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সাকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন লামিনে ইয়ামাল। ২৪ মিনিটে বাঁ-দিক থেকে তিন-চারজন ডিফেন্ডারকে অবলীলায় কাটয়ে দুর্দান্ত শটে বল জালে জড়ান তিনি। ৩৮ মিনিটে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান রাফিনহো। এক্ষেত্রে পেদ্রির বাড়ানো নিখুঁত লং পাসের প্রশংসা করতেই হয়। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি।
৬৩ মিনিটে আবারও গোল করে ইন্টারকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দেন ডমফ্রিস। কর্নার থেকে অনবদ্য হেডে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। যদিও গোলের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৬৫ মিনিটে ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান সমারের ভুলে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। এরপর আর কোনও গোল হয়নি। ড্র করে মাঠ ছাড়ে দুই শিবির।
ম্যাচের পর ইন্টার কোচ সিমোন ইনজাঘি বলেন, “অসাধারণ একটা ম্যাচ! জানতাম, ম্যাচটি অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে। আমরা কিন্তু জিততেও পারতাম। তবে ছেলেদের খেলায় খুশি।” এরপর ১৭ বছরের ইয়ামাল সম্পর্কে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে বিপক্ষ কোচ বলেন, “এমন ফুটবলার অনেকদিন দেখিনি। ও আমাদের জন্য বারবার সমস্যা তৈরি করছিল।”
অন্যদিকে বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিকের কথায়, “শুরুটা ভালো করতে পারিনি। তবে দ্রুত ম্যাচে ফিরে এসেছি। দ্বিতীয়ার্ধটা অসাধারণ ছিল। এখনও পরের লেগ বাকি। জিততেই হবে সেই ম্যাচ। আগামী ম্যাচ আমার কাছে ফাইনালের আগে ফাইনাল। ইয়ামাল আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে।” উল্লেখ্য, দ্বিতীয় লেগে দুই দল মুখোমুখি হবে ৬ মে, ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১২টায়।
La misión continúa pic.twitter.com/sYY3Jec1Xr
— FC Barcelona (@FCBarcelona_es) April 30, 2025