‘২৮০০ পথকুকুরকে হত্যা করেছি, জেলে যেতেও রাজি’, বিধান পরিষদে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক নেতা!

‘২৮০০ পথকুকুরকে হত্যা করেছি, জেলে যেতেও রাজি’, বিধান পরিষদে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক নেতা!

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৮০০ পথকুকুরকে হত্যা করে জৈব সার হিসাবে কবর দেওয়া হয়েছে! বিস্ফোরক দাবি করলেন কর্নাটকের বিধান পরিষদের সদস্য এসএল ভোজেগৌড়া। জেডিএস নেতার দাবি, মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের প্রধান থাকাকালীন তাঁর নেতৃত্বেই বিরাট সংখ্যক কুকুর মারা হয়েছে। তবে ঠিক কোন সময়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে তা জানা যায়নি। উল্লেখ্য, দিল্লি থেকে পথকুকুর সরাতে বিতর্কিত নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশজুড়ে এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন জেডিএস নেতা।

দেশজুড়ে তুঙ্গে বিতর্কের মধ্যে বুধবারই প্রকাশ্যে আসে কর্নাটকের ভয়ংকর রিপোর্ট। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে রাজ্যে কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা ঘটেছে ২ লক্ষ ৮৬ হাজার। অন্যদিকে সাত মাসে ‘ব়্যাবিস’ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু গত ৪-১০ আগস্টের মধ্যে ৫,৬৫২টি কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা সামনে এসেছে। যদিও এই সময়ের মধ্যে মৃত্যুর খবর নেই। কর্নাটক সরকারের মতে, পথকুকুর রুখতে তারা একেবারে অসহায়, কারণ এই ইস্যুতে লাগাতার বিরোধিতা করেছেন পশুপ্রেমীরা।

তারপরেই বিধান পরিষদে দাঁড়িয়ে বিতর্কিত তথ্য ফাঁস করেছেন ভোজেগৌড়া। তাঁর কথায়, “প্রত্যেক দিন কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা ঘটছে, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। কেউ যদি পথকুকুর সরানোর বিরোধিতা করেন তাহলে তাঁদের বাড়িতেই কুকুর ছেড়ে দেওয়া হোক। যখন তাঁদের সন্তানদের কুকুরে কামড়াবে তখন কী করবেন?” জেডিএস নেতার এহেন মন্তব্য ঘিরে কর্নাটকে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তাঁর সাফ কথা, “আমাদের সন্তানদের নিরাপদ রাখতে যদি জেলে যেতে হয় আমি তাতেও রাজি।”

প্রসঙ্গত, দিল্লিতে পথকুকুরদের কামড়ে জলাতঙ্ক এবং তার জেরে আমজনতার মৃত্যু- দুটোই উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, এই সংক্রান্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই সোমবার শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দিল্লি-এনসিআর এলাকার সমস্ত পথকুকুরকে অবিলম্বে ধরতে হবে। তাদের নির্বীজকরণ করিয়ে পাঠাতে হবে নিরাপদ আশ্রয়ে। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা সকলেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *