‘২২ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিয়েছি’, ব্যর্থ আয়োজকের তকমা ঘোচাতে রাজনীতিই ভরসা পিসিবির

‘২২ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিয়েছি’, ব্যর্থ আয়োজকের তকমা ঘোচাতে রাজনীতিই ভরসা পিসিবির

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার দুবাইয়ে ক্রিকেটের প্রকৃত ‘অ্যাসেজ’। মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। দুই পড়শির ম্যাচ যে নিছক ক্রিকেটীয় গণ্ডিতে আবদ্ধ নেই তা কারই বা অজানা! নতুন করে সেকথা বুঝিয়ে দিল পাক ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভির মন্তব্য। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ক্রিকেট-যুদ্ধ শুরুর আগে তাঁর মুখে শোনা গেল, ”ওদের ২২ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

কেন তিনি এমন কথা বললেন? আসলে গতকাল, শনিবার লাহোরের গদ্দাফিতে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় আচমকা বেজে ওঠে জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে…। অবাক হয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার এবং দর্শকরা। যদিও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভুল বুঝতে পারেন আয়োজকরা। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত মাঝপথে থামিয়ে অ্যাডভান্স অস্ট্রেলিয়া ফেয়ার অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীত চালানো হয়।

আর এপ্রসঙ্গেই প্রশ্ন করা হয় নকভিকে। তিনি বলেন, ”প্রতিযোগিতার আয়োজকের নাম আইসিসি।” আর সেই সঙ্গেই ভারত-প্রসঙ্গে পিসিবির চেয়ারম্যান বলে ওঠেন, ”আমাদের দিক থেকে বলতে পারি, আমরা ওদের ২২ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ছেড়ে দিয়েছি।” প্রসঙ্গত, শনিবার পাকিস্তানে আটক ২২ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। কিন্তু দুবাইয়ের মহারণের আগে সেই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ই উঠে আসছে পাক ক্রিকেট কর্তার কথায়। যে প্রচ্ছন্ন খোঁচা একদিকে বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারত-পাক ম্যাচের টেনশন কতটা গভীরে এবং এও বোঝাচ্ছে যে, ক্রিকেট মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে দেওয়া হয়েছে কূটনীতিকেও। তার চেয়েও বড় কথা, আয়োজক হিসেবে ব্যর্থতার যে তকমা ইতিমধ্যেই তাদের গায়ে চেপে বসেছে, তা থেকে বেরতেই বুঝি রাজনীতিকেই ভরসা করতে চাইছে পিসিবি।

তবে ক্রিকেট নিয়ে সরাসরি কথাও বলেছেন নকভি। পরিষ্কার দাবি করেছেন, তাঁরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আশা করি একটা ভালো ম্যাচ হবে। অবশ্যই আমরা প্রস্তুত সম্পূর্ণ ভাবে। আমার মনে হয় দল ফর্মে রয়েছে। তবে যেই হারুক আর যেই জিতুক, ওদের (পাক দল) সঙ্গেই আমরা থাকব।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *