সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৯ কোটি টাকার আয়কর ফাঁকি মামলা নতুন করে বিপাকে কংগ্রেস। ওই বিপুল পরিমাণ করছাড়ের দাবিতে ইনকাম ট্যাক্স অ্যাপিল ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তাতে হাত শিবির কোনওরকম স্বস্তি পেল না।
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ১৯৯ কোটি টাকার আয়কর ফাঁকির অভিযোগ এনেছে আয়কর বিভাগ। কংগ্রেসের দাবি ছিল, ওই ১৯৯ কোটি টাকা অনুদান হিসাবে পেয়েছে তারা। তাই করছাড় পাওয়া উচিত। সমস্যা হল, সে বছর নির্ধারিত তারিখে আইটি রিটার্ন ফাইল করেনি হাত শিবির। সে বছরের আইটি রিটার্ন কংগ্রেস ফাইল করে ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সে বছর আইটি রিটার্ন ফাইল করার সময়সীমা ছিল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এখানেই শেষ নয়, নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ সে বছর কংগ্রেস দাবি করেছিল তাঁদের তহবিলে জমা পড়া টাকার পুরোটাই অনুদান। ফলে রোজগার শূন্য। কিন্তু পরে তদন্তে জানা যায়, হাত শিবির সে বছর নগদে ১৪.৪৯ লক্ষ টাকার অনুদান পেয়েছিল, যেখানে প্রতি দাতার অনুদান ২০০০ টাকার বেশি হওয়া আইনবিরুদ্ধ। কারণ, আইনের নিরিখে ২০০০ টাকার বেশি অনুদান চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে গ্রহণ করাই বাধ্যতামূলক। এই অনিয়মের ভিত্তিতে আয়কর দপ্তর পুরো টাকাটার উপরই কর দাবি করেছে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইনকাম ট্যাক্স অ্যাপিল ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয় হাত শিবির। কিন্তু সেখানেই স্বস্তি মিলল না। ট্রাইব্যুনাল জানাল, নির্ধারিত সময় আয়কর রিটার্ন জমা না করায় করছাড়ের সুবিধা পাবে না হাত শিবির।
উল্লেখ্য, আয়কর নিয়ে ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে থেকেই সমস্যায় হাত শিবিরের। কংগ্রেসের একাধিক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজও করেছিল আয়কর বিভাগ। চব্বিশের ভোটের আগে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকার আয়কর নোটিস পায় কংগ্রেস। বলা হয়, ২০১৪-’১৫ এবং ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষের জন্য ১,৭৪৫ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে। এর আগে ১৯৯৪-’৯৫, ২০১৭-’১৮ থেকে ২০২০-’২১ অর্থবর্ষের জন্য আয়কর নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সেই অঙ্কটা ছিল প্রায় ১৮০০ কোটি। ফলে সব মিলিয়ে মোট ৩,৫৬৭ কোটি টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে কংগ্রেসকে।