১৫ দিন যমে-মানুষে লড়াই, দুষ্কৃতীদের লাগানো আগুনে ঝলসানো পুরীর কিশোরীর দিল্লি এইমসে মৃত্যু

১৫ দিন যমে-মানুষে লড়াই, দুষ্কৃতীদের লাগানো আগুনে ঝলসানো পুরীর কিশোরীর দিল্লি এইমসে মৃত্যু

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগুনে পুড়ছে শরীর। রাস্তায় বাঁচানোর আর্তি নিয়ে পুরীর একটি গ্রামের রাস্তায় ছুটেছে কিশোরী। ওড়িশার এই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল দেশ। দিল্লির এইমসে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানল সে।

ভুবনেশ্বর থেকে এয়ার  অ্যাম্বুল্যান্স করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বিশেষ চিকিৎসকদলের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল তার। তবে সব চেষ্টা বৃথা করে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল নাবালিকা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিশোরীর শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। রাখা হয়েছিল অক্সিজেন সার্পোটে। দিল্লি এইমসের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা চলছিল। তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ চিকিৎসক দল। তারপরও বাঁচানো গেল না তাঁকে।

এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘ সকল চেষ্টার সত্ত্বেও আমার কিশোরীকে বাঁচাতে পারলাম না। দিল্লি এইমসে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে মেয়েটি।” পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর এই পোস্টের পরেও বিতর্ক কমছে না। বিরোধীরা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের দাবি, বিজেপি সরকার আসার পর আইনের শৃঙ্খলা নেই। দুষ্কৃতীরা বুক চাপড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার জেরেই প্রাণ গেল নাবালিকার।

উল্লেখ্য, ১৯ জুলাই আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় নাবালিকাকে তুলে নদীর ধারে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সেখানে কিশোরীর গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। কোনও মতে তাদের হাত থেকে বেঁচে রাস্তায় পালিয়ে আসে কিশোরী। এক পরিবারের কাছে সাহায্য চায়। তারাই নাবালিকাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ভুবনেশ্বর এইমসে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স করে দিল্লি এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর হার মানল নাবালিকা। ঘটনার তদন্ত করছে ওড়িশা পুলিশ। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি তারা। তা নিয়ে সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিরোধীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *