১৩ হাজার বেশি টিকিট বিক্রি! মহাকুম্ভ চলাকালীন নয়াদিল্লি স্টেশনে দুর্ঘটনায় গাফিলতি মানল রেল

১৩ হাজার বেশি টিকিট বিক্রি! মহাকুম্ভ চলাকালীন নয়াদিল্লি স্টেশনে দুর্ঘটনায় গাফিলতি মানল রেল

রাজ্য/STATE
Spread the love


সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: মহাকুম্ভ চলাকালীন ১৫ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ নয়াদিল্লি স্টেশনে দুর্ঘটনার দিন অসংরক্ষিত প্রায় ৪৯ হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল। যা তার আগের ছ’মাসের গড় বিক্রির থেকে ১৩ হাজার বেশি। বুধবার লোকসভায় এই তথ্য জানাল রেলমন্ত্রক।

গত মাসে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনার কারণ হিসাবে শুরু থেকেই যে তত্ত্বগুলি সামনে আসছিল, তার অন্যতম ছিল মাত্রাতিরিক্ত অসংরক্ষিত টিকিট বিক্রি। যার জেরে সেদিন স্টেশনে জমায়েত হয়ে গিয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। এতদিন এগুলি অভিযোগের পর্যায়ে থাকলেও এবার তা স্বীকার করতে বাধ্য হল রেল। বুধবার লোকসভায় কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়ের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি আত্মপক্ষ সমর্থনের নানা চেষ্টাও করেছেন মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, সেদিন পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন চালানো হয়েছিল। একেকটি ট্রেনে তিন হাজার যাত্রী যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে পাঁচটি ট্রেনে মোট ১৫ হাজার যাত্রী অনায়াসে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন।

মন্ত্রকের তরফে অতিরিক্ত যাত্রী সম্পর্কে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও মালা রায়ের বক্তব্য, “এভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারে না রেল। আসল কথা হল, ওরা রেলকে গুরুত্বই দেয় না। ট্রেন বাড়িয়ে যাত্রী সংখ্যা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে ঠিক, কিন্তু একসঙ্গে যে অত মানুষ ভিড় করেছিল, তা কীভাবে সামাল দিয়েছে, সেই নিয়ে তো কিছুই জানাতে পারেনি। তাছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে তো এমনও শোনা গেছে যে, ঘটনার সময় স্টেশনে মজুত ছিলেন না পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী।”

প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শয়ে শয়ে মানুষ জড়ো হন নয়াদিল্লি স্টেশনে। আসলে নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন হয় সরাসরি কুম্ভে যাওয়ার কথা, নয়তো কুম্ভ হয়ে অন্য গন্তব্যে যাওয়ার কথা। স্বতন্ত্রতা সেনানী এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর-রাজধানী এক্সপ্রেস এই দুটি ট্রেনে প্রয়াগরাজ যাবেন বলে বহু মানুষ ১২ এবং ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু দুটি ট্রেনের কোনওটিই সময়মতো পৌছয়নি। তার মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ট্রেনদুটি বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে কুম্ভের জন্য স্পেশাল ট্রেন প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ঢুকে পড়ে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। সবমিলিয়ে স্টেশনে তুমুল বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয় সেই রাতে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *