সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, তবে এখনও উদ্ধার করা যায়নি তেলেঙ্গানার সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৮ শ্রমিককে। সময় যত গড়াচ্ছে উদ্বেগ তত বাড়ছে। সুড়ঙ্গের ভেতরে জল-কাদার জেরে পদে পদে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। এদিকে উদ্ধারকারীদের তরফে জানা যাচ্ছে, ১১ কিলোমিটার পর্যন্ত জলে ভরে গিয়েছে। এই অবস্থায় তাঁদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
গত শনিবার সকালে তেলেঙ্গানার নগরকুরনুল জেলার শ্রীসাইলাম ড্যামে অবস্থিত সুড়ঙ্গের মধ্যে লিকেজ সমস্যা সারাই করতে গিয়েছিলেন একদল শ্রমিক। সুড়ঙ্গের প্রায় ১৪ কিলোমিটার ভিতরে হঠাৎ ধস নামে ছাদে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার জেরে অন্তত ৮ জন ভিতরে আটকে পড়েন। প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, ছাদের প্রায় ১০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে যার জেরে প্রায় ২০০ মিটার এলাকায় কাদামাটি ছড়িয়ে পড়েছে। জানা যাচ্ছে, দিনচারেক আগেই খোলা হয়েছিল সুড়ঙ্গটি। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জেলাশাসক বি সন্তোষ বলেন, যাঁরা আটকে পড়েছেন তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এমনকী ভিতরের এয়ার চেম্বার ও কোনভেয়ার বেল্ট পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিন শ্রমিকদের সাড়া পেতে তাঁদের নাম ধরে ডাকা হচ্ছিল। তবে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার মধ্যে উদ্ধারকারীদের আশা, এখনও দুর্ঘটনাস্থলের ২০০ মিটারের মতো অংশ এখনও টিকে রয়েছে। সেখানে শ্রমিকরা থাকলেও থাকতে পারেন।
উদ্ধারকারী দলের আধিকারিক শ্রীনিবাস রেড্ডি বলেন, “সুড়ঙ্গের ১১ কিমি পর্যন্ত জলে ভরে গিয়েছে। এই অবস্থায় শ্রমিকদের বাইরে আসার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। যদিও আমরা চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছি। রবিবার স্থানীয় জেলাশাসক বি সন্তোষ জানান, আমাদের উদ্ধারকারী দল ইতিমধ্যেই সেই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যেখানে ‘টানেল বোরিং মেশিন’ কাজ করছিল। যদিও প্রচুর কাদা থাকার কারণে আগে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের উদ্ধারে দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করছে এনডিআরএফের ৪টি দল, সেনার ২৪ জন জওয়ান, এসডিআরএফ ও এসসিসিএল-এর ২৩ বিশেষজ্ঞ কর্মী।
এনডিআরএফের আধিকারিক বলেন, শনিবার রাতে আমাদের একটি টিম সুড়ঙ্গের ভিতরে নেমেছিল ১৩.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে জল ও কাদার কারণে আর নিচে নামা সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় ভারী মেশিন শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছতে পারছে না। দ্রুত গতিতে জল বের করার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে।