সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ জনে খেলেও দুর্দান্ত জয়। ডুরান্ড অভিযানের শুরুতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে নিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ডুরান্ড কাপের গতবারের ফাইনালিস্টরা এদিন ডার্বিতে নেমেছিল মহামেডানের বিরুদ্ধে। তবে আপুইয়া লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়েন দীপক টাংরিরা। শেষ পর্যন্ত তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ল মোহনবাগান।
নানা সমস্যায় ধুঁকতে থাকা মহামেডানকে মোটেই হালকাভাবে নিতে চাননি মোহনবাগানের সহকারী কোচ বাস্তব রায়। ‘অনামী’ ফুটবলাররা একজোট হয়ে খেলছে, সেই বিষয়টি মাথায় ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের। এদিন মোহনবাগানের জার্সিতে প্রথমবার খেলতে নামেন অভিষেক সিং। এছাড়াও অধিকাংশ সিনিয়র দলকে রেখেই প্রথম একাদশ সাজান বাস্তব।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল মোহনবাগানের। অন্যদিকে, পুরোপুরি রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজিতে নেমেছিল মেহরাজউদ্দিন ওয়াড়ুর ছাত্ররা। কেবল কাউন্টার অ্যাটাকে ভর করেই গোলের চেষ্টা করছিলেন জোসেফরা। কিন্তু সেই সুযোগটাও খুব কমই পেয়েছে মহামেডান। তাদের গোল লক্ষ্য করে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন লিস্টন কোলাসো, কিয়ান নাসিরি, আপুইয়ারা। ২৩ মিনিটে আসে ম্যাচের প্রথম গোল। দুরন্ত ফ্রিকিকে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে এগিয়ে দেন লিস্টন। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাগানে বিপর্যয়। ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে ৪৩ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আপুইয়া।
হাফটাইমের পর মোহনবাগানকে ১০ জনে পেয়েই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় সাদাকালো ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পর থেকেই অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করতে থাকেন আদিসনরা। ৫০ মিনিটে গোল শোধ করেন অ্যাশলে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে নিয়ে দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় মোহনবাগান। ৬২ মিনিটে লিস্টনের দারুণ পাস থেকে গোল করেন সুহেল ভাট। তারপর দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করলেও আর সমতা ফেরাতে পারেনি মহামেডান। তাদের বেশ কয়েকটি শট দারুণভাবে বাঁচান বিশাল কাইথ। ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে এসে পেনাল্টি থেকে গোল করেন লিস্টন। ভালো খেলেও শেষ পর্যন্ত হেরেই মাঠ ছাড়তে হল মহামেডানকে।