সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে মহামণ্ডলেশ্বর পদ কিনেছিলেন মমতা কুলকার্নি? প্রাক্তন বলি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল। মমতা মানেই খবর। এক সময়ে রুপোলি জগতে সাহসী দৃশ্যে অভিনয়। এরপর অপরাধ জগতে নাম জড়ানো। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গিয়েছে মহাকুম্ভে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে সন্ন্যাস নিচ্ছেন। রাতারাতি কিন্নর আখড়ায় মহামণ্ডলেশ্বর পদ পেয়ে যান। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। এক সপ্তাহ পেরোতেই সেই পদ থেকে বহিষ্কৃতও হন অভিনেত্রী। এবার অভিযোগ উঠল, ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে মহামণ্ডলেশ্বর পদ কিনেছিলেন মমতা? বিস্ফোরক এই অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন একসময়ের হিন্দি ছবির ‘সেক্সি’ নায়িকা। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
সলমন-শাহরুখের ‘হিরোইনে’র সন্ন্যাস পরবর্তী নাম হয় মমতানন্দ গিরি। পরনে গেরুয়া বসন, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, কপালে গেরুয়া তিলক পরে সন্ন্যাসিনীর বেশ ধরেন মমতা। যদিও সন্ন্যাস গ্রহণের পরই তাঁর মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি পাওয়া নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। মমতার মহামণ্ডলেশ্বর পদ পাওয়ায় অনেকের সঙ্গে আপত্তি জানিয়েছিলেন বাবা রামদেবও। তিনি বলেছিলেন, “এক দিনে কেউ সন্ন্যাস গ্রহণ করতে পারে না। আজকাল দেখছি, যে কেউ এসে মহামণ্ডলেশ্বর আখ্যা পেয়ে যাচ্ছেন।”
বিতর্কের মধ্যেই মমতার মহামণ্ডলেশ্বরের পদ কেড়ে নেওয়া হয়। যদিও কিন্নড় আখড়ার সংস্থাপক হিসেবে নিজেকে দাবি করা ঋষি অজয় দাস জানান, প্রথা অনুযায়ী মস্তক মুণ্ডন বা ন্যাড়া হতে হয় মহামণ্ডলেশ্বরকে। তাতে রাজি হননি মমতা। সেই কারণেই পদ থেকে বহিস্কার করা হয় তাঁকে। এর মধ্যেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে যে মমতা নাকি ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে মহামণ্ডলেশ্বর পদ পেয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। টেলিভিশনে একটি সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ১০ কোটি টাকা অনেক দূর। তাঁর কাছে ১ কোটি টাকাও নেই। তবে গুরুদক্ষিণা স্বরূপ তিনি ২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সেই টাকাও ধার করেন। যেহেতু তাঁর সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে রয়েছে। রামদেব বাবার বক্তব্যেরও জবাব দিয়েছেন মমতা। তিনি দাবি করেন, ২৫ বছর ধরে তপস্যা করছেন।