সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রকে আস্ত একটা ‘ক্লাসরুম’ বানিয়ে ফেললেন শুভাংশু শুক্লা! আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে (আইএসএস) প্রথম ভারতীয় হিসাবে পা রাখার কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে বসে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। জানালেন, মহাকাশচারীরা সেখানে প্যাকেটজাত খাবার খাচ্ছেন। তবে তিনি বাড়ির খাবারের স্বাদ পেতে ইসরো ও ডিআরডিও-র তৈরি করা গাজরের হালুয়া, মুগ ডালের হালুয়া ও আম রস সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন। বাকি মহাকাশচারীরাও সেগুলি খেয়ে প্রশংসা করেছেন। তিনিও বিভিন্ন দেশের মহাকাশচারীদের আনা ভিন্ন স্বাদের খাবার খেয়েছেন। ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেনের মহাকাশ জীবনের কথা গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনল লখনউয়ের সিটি মন্টেসরি স্কুল-সহ বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে শুভাংশুর ভিডিও বার্তার সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন করেছিল ইসরোর বিদ্যার্থী সংবাদ প্রোগ্রাম।
গত ২৬ জুন শুভাংশু-সহ আরও তিন মহাকাশচারী আইএসএস-এ পৌঁছনোর পরে এখনও পর্যন্ত তাঁরা ১০০ বার পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে ফেলেছেন। মজা করে বললেন, “মাধ্যকর্ষণহীন মহাকাশ স্টেশনে ঘুমানোর সময় নিজের স্লিপিং ব্যাগ কোথাও বেঁধে রাখতে ভুলে গেলে পরের দিন ঘুম ভাঙলে নিজেকে অন্য কোনও জায়গায় আবিষ্কার করতে হবে।” ভারতের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহাকাশ থেকে সরাসরি মহাকাশ বিজ্ঞানের পাঠদান আগে কখনও হয়নি। মহাকাশ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ তৈরি, উৎসাহ নিরসনের উদ্দেশ্যেই নানা তথ্য তুলে ধরলেন অ্যাক্সিওম মিশন ৪-এর পাইলট শুভাংশু।
মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে কেমন দেখতে লাগছে? পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তরে শুভাংশু বলেন, “ভীষণ সুন্দর দেখতে লাগে। এত শান্তি পাই।” মহাকাশ কেন্দ্রে মহাকাশচারীদের হঠাৎ কোনও শারীরিক সমস্যা হলে কী করা হয়? পড়ুয়াদের প্রশ্নের জবাবে লখনউয়ের এই যুবকের জবাব, “স্পেস স্টেশনে সমস্ত জরুরি ওষুধ ও অন্যান্য ব্যবস্থা আছে। জরুরি পরিস্থিতিতে কী করতে হবে তা নিয়ে ক্রু-দের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।” মাইক্রোগ্র্যাভিটি বা মাধ্যাকর্ষণহীনতা নিয়ে পড়ুয়াদের উৎসাহী প্রশ্নের জবাব দিলেন তিনি।