১০০ দিনের কাজ করে দিন গুজরান করেন শামির বোন-ভগ্নীপতি! উত্তরপ্রদেশের নথি ঘিরে চাঞ্চল্য

১০০ দিনের কাজ করে দিন গুজরান করেন শামির বোন-ভগ্নীপতি! উত্তরপ্রদেশের নথি ঘিরে চাঞ্চল্য

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে নাম রয়েছে মহম্মদ শামির বোনের! গত চারবছর ধরে মনরেগা প্রকল্পের আওতায় মজুরি পেয়েছেন তারকা পেসারের ভগ্নীপতিও। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তবে মনরেগা প্রকল্পে নাম থাকা নিয়ে শামির পরিবারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা এবিপি নিউজ সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু নথিপত্র প্রকাশ্যে এনেছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, মনরেগা প্রকল্পে লেখা রয়েছে শামির বোন শাবিনা অঞ্জুমের নাম। তাঁর স্বামীর নামও রয়েছে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিক তালিকায়। নথিপত্র অনুযায়ী, ২০২১ সাল থেকে মনরেগা প্রকল্পে নাম রয়েছে ওই দম্পতির। এবং নিয়মিত মজুরিও পেয়েছেন তাঁরা। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে তারকা পেসারের পরিবারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে প্রশ্ন উঠছে, এর নেপথ্যে কি কোনও দুর্নীতি রয়েছে?

উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীন বেশ কয়েকবার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মহম্মদ শামি। দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় দল। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন উইকেট নিয়েছেন শামি। ম্যাচ চলাকালীন দেখা যায়, বাউন্ডারি লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করছেন শামি। সেই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। সকলে বুঝতে পারেন, রমজান মাস শুরু হয়ে গেলেও সেমিফাইনালের দিন রোজা রাখেননি শামি। তারপর থেকেই তারকা পেসারের ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখ করে শুরু হয় সমালোচনা। ভারতীয় পেসারকে সটান ‘ক্রিমিনাল’ বলে আক্রমণ করেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের প্রেসিডেন্ট।

এখানেই শেষ নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ছিল হোলি। রংয়ের উৎসবে মেতেছিলেন শামির প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন জাহান। সেই সঙ্গে তাঁদের মেয়ের ছবিও পোস্ট করেন তিনি। বিভিন্ন রংয়ে সেজে উঠেছিল তাঁদের মেয়েও। সেই নিয়েও শামিকে খোঁচা দিয়েছিলেন মুসলিম সমাজের একাংশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শামির পরিবারের সদস্য হয়েও কেন মনরেগা প্রকল্পে নাম লেখালেন তাঁর বোন? নাকি শাবিনার পরিচয় ব্যবহার করে অন্য কেউ প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *