১০০ একর জমি অধিগ্রহণ হলেই গাইঘাটা সীমান্তে শুরু কাঁটাতারের কাজ, বৈঠক প্রশাসন-বিএসএফের

১০০ একর জমি অধিগ্রহণ হলেই গাইঘাটা সীমান্তে শুরু কাঁটাতারের কাজ, বৈঠক প্রশাসন-বিএসএফের

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সীমান্তে কাঁটাতার নেই। সেই অরক্ষিত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ ও জঙ্গিদের ঢোকার আশঙ্কা আছে। এবার সেই এলাকা কাঁটাতার দিয়ে ঘিরতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে সম্প্রতি গাইঘাটা বিডিও অফিসে বিএসএফ এবং রাজ্য প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। 

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতার দিতে প্রশাসনের তরফেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিডিও নীলাদ্রি সরকার, গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইলা বাগচি-সহ প্রশাসনের কর্তারা। দ্রুত কীভাবে ওই এলাকায় কাঁটাতার দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনাও হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই এলাকার প্রায় ১৭-১৮ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার নেই। সেসব এলাকা দিয়ে বিভিন্ন সময় পাচার হয় বলে অভিযোগ। এখন অনুপ্রবেশ আতঙ্ক আরও বাড়ছে। বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা এলাকা থেকে একাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে পাকড়াও করা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও এই বিষয়ে গত বেশ কয়েক মাসে দুশ্চিন্তা বেড়েছে।

এলাকার বিডিও জানিয়েছেন, কাঁটাতার দিতে মোট ১০০ একর জমি লাগবে। এই জমির প্রায় হাজার জন মালিক ছিলেন। ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ জমি কেনার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি জমিও কেনা হয়ে যাবে। এখানে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। মালিকরা জমি দিতে ইচ্ছুক বলেও জানা গিয়েছে। সম্পূর্ণ জমি অধিগ্রহণের পরেই কাঁটাতার দেওয়ার কাজ শুরু করবে বিএসএফ।

এ বিষয়ে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক সফল মজুমদার বলেন, “আমি সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিলাম প্রায় ১৭-১৮ কিলোমিটার কাঁটাতার নেই। বিএসএফ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। সাধারণ মানুষ ওখানে রীতিমতো আতঙ্কে আছেন।” তিনি আরও বলেন, “ব্লক প্রশাসন জমি অধিগ্রহণ করে দিলেই বিএসএফ কাঁটাতারের কাজ শুরু করবে। ভোটের রাজনীতি বাদ দিয়ে দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করে কাঁটাতার দেওয়ার কাজ শুরু হোক।” 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *