সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর গোটা বিশ্বের কূটনৈতিক চরিত্র বদলাচ্ছে। এই অবস্থায় ব্রিটেন সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ইতিমধ্যে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উঠে এসেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক, পারস্পরিক আদান-প্রদান বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রসঙ্গ। বলা বাহুল্য, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কি উত্তপ্ত বাদানুবাদের পরে গোটা বিষয়ে নজর রাখছে ভারত, ব্রিটেন উভয় দেশ।
স্টার্মারের সঙ্গে বৈঠকের পরে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় জয়শংকর জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উষ্ণ অভ্যর্থনা পৌঁছে দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে। ইউক্রেন সংঘাত নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জয়শংকর বলেন, “আমাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দু’দেশের জনগণের পারস্পরিক আদান-প্রদান বৃদ্ধির মতো দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে ব্রিটেনের দৃষ্টিভঙ্গিও ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার।”
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে পড়ছে। জ্বালানি তেল এবং বিরল খনিজের ভাণ্ডার রয়েছে দেশটিতে। সম্প্রতি বিরল খনিজ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করতে হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য়বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সাদা বাড়ি থেকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় জেলেনস্কিকে। আমেরিকা থেকে ব্রিটেনে গেলে অবশ্য স্টার্মারের থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। নতুন করে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের ব্যবস্থা করবেন বলেও দাবি করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে জয়শংকরের ব্রিটেন সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে মঙ্গলবারই ভারতের উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ধনকুবের শিল্পপতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়ে দিলেন আগামী ২ এপ্রিল থেকে ভারত, চিন-সহ বহু দেশের উপরই পারস্পরিক শুল্ক চাপাবে আমেরিকা। তাঁর কথায়, “অন্যান্য দেশ আমাদের উপর যে শুল্ক আরোপ করবে, আমরাও পালটা তাদের উপর সেই শুল্ক আরোপ করব।”