সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চণ্ডীগড়ে হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার যুগলের দেহ। মৃত যুবকের বয়স ২১ বছর। তাঁর ‘প্রেমিকা’ একজন নাবালিকা বলেই জানা যাচ্ছে। দুজনেই উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের নবেগরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। সেখান থেকে তাঁরা পালিয়ে চণ্ডীগড়ে এসেছিলেন বলে দাবি।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃত যুবকের নাম আরশাদ। তিনি একটি কারখানায় কাজ করতেন। গত সোমবার থেকেই ওই যুবক ও নাবালিকা এলাকা থেকে পালিয়ে যান। আরশাদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ এনেছিল মেয়েটির পরিবার। অবশেষে বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড়ে একটি হোটেলের ঘর থেকে দুজনকেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, বিষপান করেই ওই যুগল আত্মহত্যা করেছে।
চণ্ডীগড়ের সিনিয়র পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার জানান, কিশোরীর পরিবার দুই দিন আগে আরশাদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিল। তিনি আরও জানান, হোটেলের ঘর থেকে দেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে একটি চিরকুটও পাওয়া গেছে, যেখানে যুগল জানিয়েছে, তারা জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই মুজাফফরনগর পুলিশকে যুবক ও নাবালিকার মৃত্যুর খবর জানানো হয় চণ্ডীগড় পুলিশের তরফে।
বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই আরশাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকা তরুণীর। কিন্তু সোমবার হঠাৎই মেয়েটি উধাও হয়ে যায়। অন্যদিনের মতোই সে স্কুলে গিয়েছিল সেদিন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি। আরশাদকেও সেদিন থেকে আর দেখেননি গ্রামবাসীরা। তাতেই অনুমান স্পষ্ট হয়, আরশাদের সঙ্গেই পালিয়েছে ওই নাবালিকা। যদিও যুগলের আত্মহত্যার নেপথ্যে কোন কারণ তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে চণ্ডীগড় পুলিশ।