অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: দিদির শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের লালসার শিকার বোন! দিদির ভাসুর ও ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে মাদক পান করিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ। তিন বছর আগে হেস্টিংস থানার অন্তর্গত একটি সেনার ফ্ল্যাটে তাঁকে ধর্ষণ করে তাঁর আত্মীয়রাই! এমনই অভিযোগ হরিয়ানার সোনেপতের মুরুথাল বাসিন্দা তরুণীর। হরিয়ানা পুলিশে দায়ের হওয়া জিরো এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ।
নির্যাতিতা হরিয়ানার বাসিন্দা। ২০২২ সালে তাঁর দিদির বিয়ে হয়। তখন বয়স ছিল ১৬। বাবা-মার মৃত্যুর পর দিদির শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন ওই কিশোরী। দিদির ননদও সেখানে থাকতেন। একটি অস্ত্রোপচার করাতে দিদির ননদ ওই কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় এসে ওই সেনার ফ্ল্যাটে ওঠেন। অভিযোগ, কলকাতায় আসার একদিন পর দিদির ভাসুর ও ননদের স্বামী রাতে তাঁকে মাদক পান করিয়ে গণধর্ষণ করেন। বিষয়টি পরিবারের কেউ যাতে জানতে না পারে সেজন্য নির্যাতিতাকে হুমকি দেয়। ঘটনার পর হরিয়ানায় চলে যান নির্যাতিতা। নির্যাতিতা এখন প্রাপ্তবয়স্ক। তখন নির্যাতনের কথা বলতে না পারলেও অবশেষে সোনেপতের মুরুথাল থানায় জিরো এফআইআর দায়ের করেন তিনি। ঘটনার সময় নির্যাতিতা নাবালিকা ছিলেন, তাই পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। হরিয়ানা পুলিশ মামলাটি তদন্তের জন্য হেস্টিংস থানায় পাঠিয়েছে। হেস্টিংস থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অভিযোগকারিনী জানিয়েছেন যে, ‘আর্মির ফ্ল্যাটে’ তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। যদিও সেটি সরকারি আবাসন কি না, তা উল্লেখ করেননি তিনি। কোনও বিশেষ ঠিকানাও দেননি। তবে ইস্টার্ন কম্যান্ডের সেনা আবাসন রয়েছে মূলত হেস্টিংস থানা এলাকায়। তাই ওই অভিযোগকারিনীর সঙ্গে কথা বলতে চান পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাটি কোনও সেনা আবাসনে ঘটে থাকলে ইস্টার্ন কম্যান্ডের সঙ্গেও পুলিশ আধিকারিকরা কথা বলতে পারেন। তবে অভিযুক্তরা এখন কলকাতায় রয়েছেন কি না, সেই ব্যাপারটিও জানার চেষ্টা হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের তলব করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়েছে পুলিশ।