হিন্দোলের সঙ্গে আনসারির তুলনা! ব্রাত্যর উপর হামলার ষড়যন্ত্রে ধৃতের পুলিশ হেফাজত

হিন্দোলের সঙ্গে আনসারির তুলনা! ব্রাত্যর উপর হামলার ষড়যন্ত্রে ধৃতের পুলিশ হেফাজত

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


অর্ণব আইচ: ২০০২ সালে আমেরিকান সেন্টারে হামলার সময় কলকাতা তথা ঘটনাস্থলে ছিল না মূল চক্রী আফতাব আনসারি। পরে বেরিয়ে এসেছিল ষড়যন্ত্রের তথ‌্য। তেমনই গবেষক হিন্দোল মজুমদার স্পেনে বসে যাদবপুর বিশ্ববিদ‌্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত‌্য বসুর গাড়িতে হামলার ষড়যন্ত্র করে। শুক্রবার হিন্দোলকে আদালতে পেশ করে এমনই অভিযোগ তোলেন সরকারি আইনজীবী। সওয়াল-জবাবের পর তার জামিনের আর্জি খারিজ করে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

গত ১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ‌্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাতে জখম হন ব্রাত্য বসু নিজেও। অভিযোগ, সেদিনের ঘটনার মূল চক্রী ছিলেন হিন্দোল মজুমদার। ঘটনার সময় তিনি স্পেনে ছিলেন। কিন্তু হোয়াটসঅ‌্যাপ গ্রুপে অন‌্য সদস‌্যদের এই সংক্রান্ত নির্দেশ ও পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার স্পেনের গ্রানাডা থেকে দিল্লিতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই যাদবপুরের প্রাক্তনী তথা গবেষক হিন্দোল মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার হিন্দোলকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানান।

জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী আদালতে হিন্দোলের কার্যকলাপের সঙ্গে আফতাব আনসারির তুলনা করেন। তিনি আদালতে জানান, কলকাতায় আমেরিকান সেন্টারে হামলায় সশরীরে আফতাব ছিল না। দুবাইয়ে বসে সে ষড়যন্ত্র করে। পুলিশ ঝাড়খণ্ড থেকে অন‌্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার বেরিয়ে আসে ষড়যন্ত্রের তথ‌্য। পরে দুবাই থেকে আফতাব গ্রেপ্তার হয়। হিন্দোলকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, হিন্দোল কৃতী ছাত্র। আরে, লাদেনও কৃতী ছাত্র ছিল। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার দিন লাদেন ঘটনাস্থলে ছিল না। হিন্দোলও ঘটনাস্থলে ছিল না। কিন্তু পিছনে বসে যড়যন্ত্র করেছে। হিন্দোলের কৃতিত্ব নিয়ে কেউ প্রশ্ন করছে না। কৃতী মানে যে অপরাধ করলে পুলিশ ধরতে পারবে না, এমনটা নয়। আইন আইনের পথে চলবে।’’

আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেন, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। জাতীয় পতাকা অবমাননা ধারা আছে। পতাকা পোড়ানো হয়েছে। হোয়াট অ‌্যাপ চ‌্যাটে প্রমাণিত যে, পুরোটাই পরিকল্পিত ও সংগঠিত। বিদেশে বসেই করা হয়েছে। আরও অন‌্য সাক্ষীর বয়ানের সঙ্গে হোয়াটসঅ‌্যাপ চ‌্যাট প্রসঙ্গ মিলেছে। তাঁরা বলেছেন যে, হিন্দোলের কথামতো কাজ করা হয়েছিল। তিনি মূল চক্রী ও তিনিই পুরোটা করিয়েছেন। ৬ মাসের তদন্তে তাঁর ভূমিকা সুনিশ্চিত হওয়ার পর লুক আউট নোটিস দেওয়া হয়। হঠাৎ করে বাইরে বসে মন্ত্রীর উপর হামলার উদ্দেশ‌্য কী? কেউ কি তাঁকে ব‌্যবহার করে এই কাজ করিয়েছেন কি না, জানতে জেরার প্রয়োজন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *