শেখর চন্দ্র, আসানসোল: হায়দরাবাদে কাজে গিয়ে খুন আসানসোলের ব্যক্তি! কারাখানার আবাসন থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত। নিখোঁজ তাঁর রুমমেটও। হায়দরাবাদ পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহ আনতে রওনা দিয়েছে বাড়ির লোক। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ওই ব্যক্তির বাড়ি এলাকায়।
মৃত ব্যক্তির নাম রোশন হেলা ওরফে ডাবা। বয়স ৪৩ বছর। তিনি উত্তর আসানসোলের রামকৃষ্ণ ডাঙালের ভুঁইয়া পাড়ার বাসিন্দা। গত ১৯ জুন কয়েকজন বন্ধুদের সঙ্গে হায়দারাবাদের এক বেসরকারি কারখানায় কাজে যোগ দিতে যান। কাজে যোগ দেওয়ার পর কারখানারই আবাসনে থাকতেন রোশন হেলা ও তাঁর সঙ্গী রঞ্জিত পণ্ডিত।
গত ২ জুলাই বুধবার কারখানার আবাসন থেকে রোশনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। অফিসের সহকর্মীরা দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ রোশনের সঙ্গী রঞ্জিত। তবে হায়দারাবাদ পুলিশের অনুমান, রঞ্জিতই রোশনকে খুন করে পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
রোশনের পরিবারকে তাঁর মৃত্যুর কথা জানায় আসানসোলে উত্তর থানার পুলিশ। তারপরই বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে রওনা দিয়েছেন তাঁর দাদা। মৃতের পরিবারের তরফে তাঁর বউদি তুলসী হেলা জানান, রোশনের কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। কি হয়েছে কিছু বুঝতে পারছেন না তাঁরা। আরও জানিয়েছেন, ২৪ জুন আধার কার্ডের ওটিপি চেয়ে শেষবার ফোন করেন রোশন। খুনের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রোশনের পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
অন্যদিকে, রামকৃষ্ণ ডাঙালে রঞ্জিত পণ্ডিতের দাদা বউদি থাকেন। বউদি পূজা পণ্ডিত জানিয়েছেন তাঁদের কিছু জানায়নি পুলিশ। দেওর রঞ্জিতের সঙ্গে একবার কথা হয়েছিল, সেই সময় জানিয়েছেন তাঁর চাকরি চলে গেছে। তাই অন্য চাকরি খুঁজতে বেরিয়েছেন। তাই মাঝে মাঝে ফোন সুইচ অফ থাকছে। রাঙ্গা রেড্ডি জেলার নার্সিংগি পুলিশ থানার ইন্সপেক্টর জি শ্রীকৃষ্ণা রেড্ডি বলেন, “গলায় ধারালো আঘাত রয়েছে এবং ঘটনার পর থেকে তার রুমমেট রঞ্জিত পন্ডিত ফেরার রয়েছে। তাদের প্রাথমিক সন্দেহ এই ঘটনার পেছনে ওই রুমমেট জড়িত রয়েছে।”