সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: কৃষ্ণনগরের ঈশিতা মল্লিক ‘খুনে’ ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। অভিযুক্ত দেশরাজ সিংহকে দফায় দফায় জেরা চলছে। শুক্রবার রাতে জেরার পরে দেশরাজ ওই অস্ত্রের হদিশ দেয়। তাঁকে নিয়েই তদন্তকারীরা ওই অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। কৃষ্ণনগর স্টেশন সংলগ্ন একটি ডোবার থেকে ওই সেভেন এমএম পিস্তল পাওয়া গিয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর বাড়ি ঢুকে ঈশিতাকে গুলি করে ‘খুন’ করেছিল দেশরাজ। তারপর সেখান থেকে পালিয়েছিল অভিযুক্ত। ২৬ তারিখ উত্তরপ্রদেশ গিয়েছিল সে। পরে সীমান্ত পেরিয়ে নেপাল পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তার আগেই ১ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। পুলিশ হেফাজতেই আছে অভিযুক্ত। ধারাবাহিকভাবে তদন্তকারীরা জেরা করছে তাকে। গতকাল, শুক্রবার সন্ধ্যায় তদন্তকারীদের কাছে রুটি-মাংস খেতে চেয়েছিল দেশরাজ। সেই আবদার মেনে রুটি-মাংস নিয়ে আসা হয়েছিল। তা খেয়েই পুলিশের প্রশ্নের উত্তর দেয় দেশরাজ।
খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের হদিশ পাচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা। জেরার সময় দেশরাজ অস্ত্রের বিষয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছিল। গতকাল রুটি-মাংস খাওয়ানোর পর ফের তদন্তকারীরা অস্ত্রের কথা জানতে চান। তখনই অস্ত্রের হদিশ দেয় অভিযুক্ত। এরপর আর কালবিলম্ব করেননি তদন্তকারীরা। রাতেই দেশরাজকে নিয়ে তদন্তকারীরা কৃষ্ণনগর রেল স্টেশন চত্বরে পৌঁছন। স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মের শেষ মাথায় একতি ডোবা আছে। সেখানেই ওই পিস্তল ফেলেছি দেশরাজ। পাঁচিল টপকে ডোবার আশপাশে তল্লাশি চালাতেই তদন্তকারীদের হাতে আসে সেটি। ওই পিস্তল দিয়েই ঈশিতাকে খুন করা হয়েছিল বলে পুলিশকে জানায় দেশরাজ। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের গোটা প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করা হয়। পিস্তলটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঈশিতার ঘরে যে গুলি উদ্ধার হয়েছিল, সেগুলিই এই আগ্নেয়াস্ত্রেরই কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার ডিএসপি শিল্পী পাল বলেন, “দেশরাজের কথামতো তাকে কৃষ্ণনগর স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে একটি জলা জঙ্গলের পাশের জায়গা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার হয়। সেটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।”