অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল বাবা-মা-ছেলের মৃতদেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগাছা রামরাজাতলা এলাকায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। খুন নাকি আত্মহত্যা? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়ে ওই তিনজন আত্মঘাতী হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, রামরাজাতলার হাটপুকুর লেনের শিবালয় আবাসনে বাস খাঁ পরিবারের। চারতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন গৃহকর্তা বলরাম খাঁ (৬৫), তাঁর স্ত্রী শেলি খাঁ (৫৭) এবং একমাত্র সন্তান সম্বৃত। বলরাম খাঁ এলআইসিতে কর্মরত ছিলেন। শেলি খাঁ পোস্ট অফিসের কর্মী। ছেলে সম্বৃত একটি আইটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। তিনজনের পরিবারে তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। প্রতিবেশীরা তেমনই জানাচ্ছেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ওই পরিবারের সদ্ভাবও ছিল বলে খবর।
এদিন সকাল থেকেই ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। আবাসনের অন্য পরিবারদের মধ্যে তেমন কোনও সন্দেহও হয়নি। এদিকে ওই পরিবারের এক আত্মীয় সকাল থেকে তাঁদের মোবাইলে ফোন করছিলেন। কিন্তু কেউ ফোন তোলেননি। তিনজনের কেউ পরে ফোনও করেননি। সন্দেহ হওয়ায় হাওড়ার ওই আবাসনে চলে যান ওই আত্মীয়। চারতলার ওই ফ্ল্যাটের দরজায় ধাক্কা মারলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। আবাসনের অন্যান্যরাও সেখানে হাজির হন। এরপরই খবর দেওয়া হয় জগাছা থানায়। পুলিশ গিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। চক্ষুচড়কগাছ হয় সকলের।
ফ্ল্যাটের একটি ঘরের বিছানার পড়ে থাকতে দেখা যায় বলরাম খাঁ ও তাঁর স্ত্রী শেলির মৃতদেহ। পাশের ঘর থেকে উদ্ধার হয় একমাত্র ছেলেরও মৃতদেহ। কিন্তু কীভাবে হল এমন ঘটনা? আত্মহত্যা নাকি খুন? সেই প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ওই পরিবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। অনেক আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। ফ্ল্যাটের কোথাও কোনও সুইসাইড নোট রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর্থিক কোনও সমস্যা ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।