সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের সশস্ত্র হাউথি গোষ্ঠী বহুদিন ধরেই লোহিত সাগরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এবার সেই বিদ্রোহীদের বড় ধাক্কা আমেরিকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে হাউথি ঘাঁটিতে হানা মার্কিন সেনার। ওই হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, হাউথিরা না থামলে তাদের উপরে নরক নেমে আসবে। আর যদি ইরান আমেরিকার বিরুদ্ধে এসে দাঁড়ায়? ট্রাম্পের বার্তা, ”তোমাদেরই সম্পূর্ণ দায়ী করবে আমেরিকা। এবং আমরা মোটেই নরম মনোভাব নিয়ে চলব না।”
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা যাচ্ছে, হামলা এখনই থামবে না। আমেরিকা আপাতত লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাবে হাউথিদের বিরুদ্ধে। কয়েক সপ্তাহ দীর্ঘ হতে পারে হামলার সময়কাল। ট্রাম্প মসনদে ফেরার পর থেকে এটাই মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন হামলা। জানা যাচ্ছে, মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ থেকে যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলার পাশাপাশি ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছিল। নিহত ২৪ জনের মধ্যে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় নিহত হয়েছেন ১৩ জন সাধারণ নাগরিক। আহত ৯। হামলায় নিহত বাকি ১১ জনের মধ্যে চারজন শিশু ও একজন মহিলা রয়েছেন। সাদায় হওয়া ওই হামলায় আহত ১৪ জন।
নিজের সোশাল মিডিয়া ‘ট্রুথ’-এ ট্রাম্পকে লিখতে দেখা গিয়েছে, ‘সমস্ত হাউথি জঙ্গিদের প্রতি, তোমাদের সময় শেষ। এবং আজ থেকেই তোমাদের সমস্ত হামলা থামাতে হবে। যদি না থামাও, তাহলে তোমাদের উপরে এমন নরক নেমে আসবে যা তোমরা কখনও দেখোনি।’
এদিকে আমেরিকাকে পালটা হুঁশিয়ারি দিয়েছে হাউথিও। জঙ্গি গোষ্ঠীর রাজনৈতিক ব্যুরোর তরফে এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে বর্ণনা করে এক বিবৃতি পেশ করা হয়েছে। সেখানে তারা পালটা হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, ‘আমাদের ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত বড় হামলার জবাব বড় হামলায় দিতে।’