হাই কোর্টে খারিজ সইফের আবেদন, ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি চলে যাবে সরকারের দখলে!

হাই কোর্টে খারিজ সইফের আবেদন, ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি চলে যাবে সরকারের দখলে!

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্বস্তিতে সইফ আলি খান। ২০২৫ সালটা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না অভিনেতার। বছরের শুরুতেই নিজের বাড়িতে আক্রান্ত হতে হয়েছিল তাঁকে। এবার পতৌদি পরিবারের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সইফের করা আবেদন খারিজ করে দিল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট।

২০১৫ সালেই মুম্বইয়ে অবস্থিত শত্রু সম্পত্তি সংক্রান্ত দপ্তরের তরফে ঘোষণা করা হয় ভোপালের নবাবের জমি সরকারি সম্পত্তি। এরপরই পতৌদি পরিবার আইনের দ্বারস্থ হয়। দাবি করে, ভোপাল ও রাইসেনে অবস্থিত ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, আহমেদাবাদ প্যালেস থেকে রাইসেনের কোঠি ও কোঠি সংলগ্ন জঙ্গল ইত্যাদি সবই তাদের সম্পত্তি। কিন্তু এবার শত্রু সম্পত্তি আইনে সবই হাতছাড়া হতে চলেছে তাদের। ২০১৫ সালে ওই সম্পত্তি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই রাজ্যের হাই কোর্ট তা তুলে নেয়। এবার সইফের আবেদন খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত।

কী এই শত্রু সম্পত্তি আইন? আসলে ১৯৪৭ সালে ভোপাল ছিল এক প্রিন্সলি স্টেট। যার শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লা খান। তিনিই সইফের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদির মাতামহ। তাঁর তিন কন্যার মধ্যে যিনি বড়, সেই আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। দ্বিতীয় কন্যা সাজিদা সুলতান ভারতেই থেকে যান। বিয়ে করেন সইফের ঠাকুর্দা ইফতিকার আলি খান পতৌদিকে। এর ফলে সইফের ঠাকুর্দা ওই সমস্ত সম্পত্তির আইনত উত্তরাধিকারী হয়ে যান।

২০১৯ সালে আদালত জানিয়ে দেয়, সাজিদা সুলতান ওই সম্পত্তির বৈধ উত্তরসূরি। এবং তাঁর নাতি সইফ আলি খানের সেই সম্পত্তিতে অংশ রয়েছে। কিন্তু আবিদা পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় রকার এটিকে শত্রু সম্পত্তি বলে দাবি করে। আর এই সম্পত্তির উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর থেকেইই নতুন করে সমস্যা দেখা দেয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *