স্টাফ রিপোর্টার: ৮৬ বছর বয়সেও তিনি ক্লান্তিহীন। ভিড়ে ঠাসা মিছিল থেকে শুরু করে দিনভর পার্টির নানা কর্মসূচিতে সাবলীলভাবেই হাঁটাচলা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য বিমান বসু। দিল্লি-কেরল থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ হয়ে জেলা সফরেও তাঁর খামতি নেই। কিন্তু এবার বয়সজনিত কারণে তাঁর হাঁটায় কিছু বিধিনিষেধ জারি করলেন চিকিৎসকরা।
ডাক্তারের বিধিনিষেধের কথা নিজেই জানিয়েছেন বিমান বসু। তাঁর কথায়, ‘‘আমার বয়স এখন ৮৬ প্লাস। ডাক্তার বলেছেন, হাঁটা চলুক। কিন্তু এবার একটা বিধিনিষেধ চাপিয়েছেন চিকিৎসকরা। বলেছেন, হাঁটুন, কিন্তু আর একদম বৃষ্টিতে ভিজবেন না। ছিয়াশি পার হলেন। কিছু তো মানতে হবে।”
স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যপালের আমন্ত্রণে রাজভবনে চায়ের আসরে বিমান ডাক্তারদের এই পরামর্শের কথা জানিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ-সাংবাদিক তথা রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে। রাজভবনের চায়ের আসরে অন্যবারের মতো এবারও মধ্যমণি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে সিপিএম বিমান বসুর সঙ্গে দেখা হতেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শারীরিক খোঁজখবর নেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী উত্তরের অলিন্দের দিকে এগিয়ে যান। সেদিকেই যাওয়ার পথে কুণাল দেখেন, বসে আছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে যেতেই দেখতে পান পাশেই দাঁড়িয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান।
সঙ্গে সঙ্গে ঢিপ করে প্রণাম করেন কুণাল। সস্নেহে বিমান বসু বলেন, ‘‘পায়ে হাত কেন আবার!” কুণালের উত্তর, ‘‘পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার লোক ক্রমশ কমে যাচ্ছে, তাই।” পাশ থেকে অন্য এক আমন্ত্রিত বলেন, ‘‘সে কী কুণালবাবু, বিমান বসুকে প্রণাম!” এরপর স্পিকারকেও প্রণাম করেন কুণাল। দুজনের সঙ্গেই তাঁর দীর্ঘ পরিচয়। একবার সাংবাদিক কুণালের মানহানির মামলার আইনজীবীও ছিলেন বিমানবাবু।
এদিনের সাক্ষাতে তিনজনেই কিছুক্ষণ গল্প করেন। দুই বিমানের সঙ্গে গল্পের মধ্যেই কুণাল বলেন, ‘‘বিরল ফ্রেম। একটা ছবি হয়ে যাক।” সবাই সানন্দে রাজি হন। পাশে ছিলেন আইএফএ-র শীর্ষকর্তা সুব্রত দত্ত ও অন্য এক পদাধিকারী সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায়। সুব্রতবাবুই আন্তরিকভাবে বিরল মুহূর্তটি ফ্রেমবন্দি করে দেন। ছবির ক্যাপশনটাও বিমান বসু বলে দেন, ‘‘বিমান স্কোয়ারের সঙ্গে কুণাল।”