হদিশ মিলল অভিশপ্ত বিমানের একটি ব্ল্যাক বক্সের, জানা যাবে দুর্ঘটনার আসল কারণ?

হদিশ মিলল অভিশপ্ত বিমানের একটি ব্ল্যাক বক্সের, জানা যাবে দুর্ঘটনার আসল কারণ?

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হদিশ মিলল আহমেদাবাদে দুর্ঘটনার কবলে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১-এর একটি ‘ব্ল‍্যাক বক্সে’র। বিমানে সচরাচর দুটি করে ব্ল্যাক বক্স থাকে। একটি সামনের দিকে, একটি পিছনের দিকে। দুটির মধ্যে একটি ব্ল্যাক বক্সের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেটি অক্ষত আছে। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটির হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি।

জানা গিয়েছে, বিমানের পিছনের দিকের ব্ল্যাক বক্সটির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেটা খতিয়ে দেখা হবে। ইতিমধ্যেই ডিজিসিআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেলের কাছে ওই ব্ল্যাক বক্সটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটি খতিয়ে দেখলেই দুর্ঘটনার কারণ, শেষ মুহূর্তে কী হয়েছিল, সবটা জানা যেতে পারে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ভিতরের শেষ কথা। সতর্কতামূলক অ্যালার্ম। এবং উড়ানের পথের তথ্য সংরক্ষণ। সবই রয়েছে ব্ল‍্যাক বক্স-এ। সামনের দিকের ব্ল্যাক বক্সের হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, তা জানতে এখন নজর, কমলা রঙের ওই মেটালিক বক্সের দিকে। যা আসলে ‘ব্ল‍্যাক বক্স’ নামেই পরিচিত।

বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই ‘ব্ল‍্যাক বক্স’? সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, সব প্লেনেই দু’রকমের ব্ল‍্যাক বক্স রাখা থাকে। এটাই নিয়ম। একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)। অপরটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই দুই রেকর্ডিং থেকে কী ঘটেছিল সেটার একটা ছবি ভেসে ওঠে তদন্তকারীদের সামনে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ড থেকে পাওয়া যায় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেব, কোনদিকে যাচ্ছিল বিমান, কত স্পিড ছিল এমন মোট ৮০ রকমের তথ্য পাওয়া যায়।

বিমান দুর্ঘটনা মানেই ধ্বংসাবেশেষ। পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে কেন বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে সমস্যা হয় তদন্তকারীদের। তা হলে উপায় কী? এই জন্যই আবিষ্কার হয়েছিল বিমানের ব্ল‍্যাক বক্স। এই বক্স আসলে দু’টি কমলা রঙের মেটালিক বাক্স। যার মধ্যে থাকে রেকর্ডার। ১৯৫০ সাল থেকে এই বক্স ব্যবহার করা চালু হয়। কোনও বিমান দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে ঠিক কী কারণে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তা আগে বোঝা সম্ভব হত না তদন্তকারীদের পক্ষে। দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে বিমানে কী হয়েছিল তাও জানা সম্ভব ছিল না। তাই এই ‘ব্ল‍্যাক বক্স’ ব্যবস্থা রাখা হয় বিমানে। প্রথমে মেটালিক স্ট্রিপে রেকর্ড হত বিমানের ভিতরের সব ঘটনা। যাতে জলে কিংবা আগুনের গ্রাসে পড়লেও নষ্ট না হয় তথ্য। পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং মেমরি চিপ রাখা হয় ব্ল‍্যাক বক্সে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *