সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার ভারত-পাক দু’দেশেরে সেনাবাহিনীর DGMO-রা বৈঠকে বসেছেন। গত ১০ তারিখ পাকিস্তানের DGMO-র তরফে ভারতের DGMO-র সঙ্গে কথা বলে সংঘর্ষবিরতির আবেদন করা হয়। এরপরই ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন আপাতত দুদেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ১২ তারিখ আবার এবিষয়ে দু’দেশের DGMO ফের কথা বলবেন।
কিন্তু দু’দেশের DGMO কী আপনার আমার মতো ফোন ব্যবহার করেন। না কি অন্য কোনও মাধ্যম রয়েছে তাঁদের কথা বলার জন্য। দু’দেশের DGMO-রা কথা বলবেন ‘হট লাইনে।’ হট লাইন হল খুবই সুরক্ষিত একটি মাধ্যম। এটি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম।
হটলাইন ও সাধারণ ফোনের মধ্যে আদেও কোনও পার্থক্য রয়েছে। নাকি এই দু’টি একই। সাধারণ ফোন ও হট লাইনের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। সাধারণ ফোনের ক্ষেত্রে নম্বর ডায়াল করতে হয়। তবে হট লাইনের ক্ষেত্রে সেটার প্রয়োজন হয় না। রিসিভার তুললেই নির্ধারিত ব্যক্তির সঙ্গে কলটি যুক্ত হয়ে যায়।
কখন ব্যবহার করা হয় হট লাইন? যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি, দুর্যোগ অথবা জরুরি অবস্থায় এই হট লাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক দেশের শীর্ষ আধিকারিকরা অন্য দেশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে হট লাইনে কথা বলে থাকেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার মধ্যে প্রথম হটলাইন ব্যবহার হয়েছিল। এরপর ১৯৬৩ সালে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে হটলাইন স্থাপন করা হয়। ভারতে প্রথম হটলাইন পরিষেবা চালু হয় ১৯৬৩ সালে। ভারতে প্রথম হটলাইন স্থাপন করা হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এটি ছিল জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই হটলাইনের মাধ্যমে, দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা সরাসরি একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে ফের চর্চায় হট লাইন।