‘স্যার ক্রিক অঞ্চলে আগ্রাসন দেখালে…’ পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি রাজনাথের

‘স্যার ক্রিক অঞ্চলে আগ্রাসন দেখালে…’ পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি রাজনাথের

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাট সীমান্তের কাছে স্যার ক্রিক অঞ্চলটিতে কোনও আগ্রাসন দেখালে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এমনটাই বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। একইসঙ্গে তিনি জানান, ইসলামাবাদ যদি এই অঞ্চলটিতে ক্রমাগত আগ্রাসন দেখাতে থাকে, তাহলে ভারত এমন জবাব দেবে, যা ভূগোল বদলে দিতে পারে।

বৃহস্পতিবার দশেরা উপলক্ষে গুজরাটের ভুজের কাছে সেনাঘাঁটিতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজনাথ। জওয়ানদের সঙ্গে উদযাপনের পাশাপাশি ‘শস্ত্র পুজো’ও করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেখানে ভাষণ দেওয়ার সময় পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “স্যার ক্রিক অঞ্চলে পাকিস্তানের কোনও আগ্রাসন দেখালে, তার কড়া জবাব দেবে ভারত। যার ফলে ইতিহাস-ভূগোল পর্যন্ত বদলে যেতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “১৯৬৫ সালের যুদ্ধে, ভারতীয় সেনাবাহিনী লাহোরে পৌঁছনোর ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিল। আজ ২০২৫ সালে, পাকিস্তানের মনে রাখা উচিত যে করাচিতে যাওয়ার একটি পথ এই খালের মধ্য দিয়ে যায়। স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরও, স্যার ক্রিক এলাকায় সীমান্ত নিয়ে বিরোধ অব্যাহত রয়েছে। ভারত বারবার পাকিস্তানকে আলোচনার টেবিলে বসানোর চেষ্টা করলেও পাকিস্তান কোনওদিনই তা রাজি হয়নি।”   

সময়ের পাতা উলটে দেখলে জানা যাবে, স্যার ক্রিক (ভারতের গুজরাট ও পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মধ্যেকার জলরাশি) নিয়ে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের বিবাদ নতুন কিছু নয়। প্রায় ৯৬ কিলিমিটারের ওই জলরাশি রান অফ কচ্ছ থেকে শুরু হয়ে আরব সাগরে মিলিত হয়েছে। তেল, গ্যাস ও মাছের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে এই অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রায়ই সেখানে একে অপরের মৎস্যজীবীদের পাকড়াও করে দু’দেশই। বেশ কয়েকবছর আগে নিজেদের রাজনৈতিক মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ ও স্যার ক্রিককে নিজেদের অংশ হিসাবে দেখিয়েছিল পাকিস্তান। তবে বিশ্লেষকদের মতে, বাস্তবে ভারতীয় সীমানায় আগ্রাসন চালানোর মতো সাহস পাক সেনার নেই। তার উপর সম্প্রতি ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর আরও কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *