স্বাস্থ্যবিমায় করছাড়ের প্রস্তাব দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, ভোটের লাগি হঠাৎ মান্যতা মোদির!

স্বাস্থ্যবিমায় করছাড়ের প্রস্তাব দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, ভোটের লাগি হঠাৎ মান্যতা মোদির!

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


স্বাস্থ‌্যবিমার উপর করছাড়ের প্রস্তাব প্রথম দেন বাংলার মুখ‌্যমন্ত্রী। এতদিন আমল না দিয়ে হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী রাতারাতি দাবিটি মেনে নিলেন! 

ঠেলায় পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে– কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আকছার এই কথাটি বলে থাকে বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি জিএসটি কাঠামোর রদবদলের পর প্রায় একই কথা বলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাস্থ‌্য ও জীবনবিমায় জিএসটি মকুব করার দাবি অনেকদিন আগেই তুলেছিলেন তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। পরে তাঁর দলের সাংসদরা দাবিটি সংসদেও পেশ করেন। প্রাথমিকভাবে কোনও হেলদোল দেখায়নি মোদি সরকার। হঠাৎ বিধানসভা ভোটের মুখে মূল‌্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, এসআইআর ইত‌্যাদির বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে চাপে থাকা প্রধানমন্ত্রী রাতারাতি দাবিটি মেনে নিলেন!

প্রশ্ন– এত দিন কেন মধ‌্যবিত্তর পকেট ফুটো করে স্বাস্থ‌্যবিমা ও জীবনবিমার প্রিমিয়ামে ১৮ শতাংশ করে জিএসটি নেওয়া হল! মোদি সরকার স্বাস্থ‌্যখাতে বরাদ্দ ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে চলেছে। বিশেষত স্বাস্থ‌্য পরিকাঠামো নির্মাণে তারা আর বড় কোনও লগ্নিতে আগ্রহী নয়। বিভিন্ন প্রকল্পে অনুদান কমছে। স্বাস্থ্যে বেসরকারি লগ্নিকে উৎসাহিত করাই সেখান থেকে স্পষ্ট।

বিমা ব‌্যবস্থ‌্ার প্রসারও কেন্দ্রের নীতির অনুসারী। গত কয়েক বছরে দেশে স্বাস্থ‌্যবিমার বাজার বিপুল হারে বিস্তার লাভ করেছে। স্বাস্থ‌্যবিমার মূল গ্রাহক– গরিব-মধ‌্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ তা নিয়ে সংশয় নেই। ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ‌্যবিমার বাজারকেই কেন্দ্র তাদের অায়ের একটি উৎস বানিয়েছিল।

মমতা বন্দে‌্যাপাধ‌্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের নিষ্ঠুর ও অমানবিক নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে এমন অাশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি। বিশেষত প্রবীণ নাগরিকদের স্বাস্থ‌্যবিমার প্রিমিয়ামের খরচ প্রতি বছর চড়া হারে বাড়ে। ফলে বিমায় ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি অাদায় যে সরকারের তরফে একটি অত‌্যন্ত অসংবেদনশীল কাজ তা চোখে অাঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার মুখ‌্যমন্ত্রী।
জিএসটি পরিষদের বৈঠকেও এই ইসু‌্যতে সরব হয়েছিলেন রাজে‌্যর অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

জীবনবিমার প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রেও চড়া হারে জিএসটি অাদায় কেন্দ্রীয় সরকারের অসংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক ছিল। অবসরের পর প্রাপ্ত অর্থ যঁারা জীবনবিমা সংস্থার বিভিন্ন পেনশন স্কিমে রাখতে বাধ‌্য হচ্ছিলেন তঁাদেরকেও এতদিন চড়া হারে জিএসটি মেটাতে হচ্ছিল। জীবনবিমায় জিএসটি মকুব তঁাদের বিরাট স্বস্তি দিল।

রাজনৈতিকভাবে চাপে না-পড়লে মোদি সরকার যে এত দ্রুত ব‌্যক্তিগত বিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত‌্যাহারে সম্মত হত না তা তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা যে মোটেই ভুল বলেনি তা বলা বাহুল‌্য। প্রতিবাদ ও অান্দোলন ছাড়া যে কেন্দ্রীয় সরকারের কানে কথা ঢোকানো যেত না তা সকলের উপলব্ধিতে এল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *