ভোপাল: বিদ্যুতের শক দিয়ে স্বামীকে খুন করেছেন তিনি। এই অপরাধে ছতরপুর জেলার এক কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপিকাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। আত্মপক্ষ সমর্থনে ওই অধ্যাপিকা যে যুক্তি দিয়েছেন, তা সামাজিক মাধ্যমে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। মমতা পাঠক নামে ওই অধ্যাপিকা হাইকোর্টে মামলা লড়ার জন্য কোনও আইনজীবীর সাহায্য নেননি। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে বিজ্ঞানের ‘আশ্রয়’ নিয়েছিলেন তিনি। তবে দীর্ঘ আইনি লড়াই চালিয়েও শাস্তি এড়াতে পারেননি।
২০২১-এ রহস্যজনকভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল মমতা পাঠকের স্বামী পেশায় চিকিৎসক নীরজ পাঠকের। ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক তদন্ত রিপোর্টের সূত্র ধরে পুলিশ মমতা পাঠককে গ্রেপ্তার করে। নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন মমতা। এরপরেই হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। বিচারপতি বিবেক আগরওয়াল এবং বিচারপতি দেবনারায়ণ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল করতে গিয়ে মমতা জানান, ইলেক্ট্রিক শক এবং থার্মাল বার্নের মধ্যে আপাতভাবে পার্থক্য করা কঠিন। দু-ধরনের আঘাতের মধ্যে তফাত করতে হলে দরকার রাসায়নিক বিশ্লেষণ।
মমতা বুঝিয়ে দেন, কীভাবে ইলেক্ট্রিক শক বা বিদ্যুৎপ্রবাহ শরীরের কোষের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এবং থার্মাল বার্ন (তাপজাত আঘাত)-এর ফলে শরীরে কিছু বিশেষ ধরনের কণার জমাট বাঁধার লক্ষণ দেখা যায়। দু-ধরনের ক্ষত খালি চোখে একই গোত্রের বলে মনে হয়। দুয়ের মধ্যে তফাত করতে হলে দেহের নমুনা পরীক্ষাগারে নিয়ে গিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে। আদালত জানিয়েছে, পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। তাঁকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হল।