অভিষেক চৌধুরী, কালনা: প্রেমের বিয়ে। তাতেও সুখ স্থায়ী হয়নি। অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্বামী। প্রতিবাদ করায় বেধড়ক ‘মার’ তরুণীকে। অত্য়াচারের জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। ইতিমধ্যেই পূর্বস্থলী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাতবছর আগে পূর্বস্থলীর রামকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা আজমিরা খাতুন। প্রেম করে স্থানীয় ধরমপুরের বাসিন্দা আলোবদ্দিন শেখ নামের এক যুবককে বিয়ে করেন তিনি। তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও হয়। অভিযোগ, এরপরই আলোবদ্দিন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আজমিরা জানামাত্রই ঘটনার প্রতিবাদ করে। তাতেই অত্যাচার শুরু বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, গত ৩ জুলাই স্ত্রীকে বেল্ট দিয়ে বেধড়ক মারধর করে যুবক। এরপর অসুস্থ অবস্থায় তরুণীকে বাপের বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। যদিও সেইসময় ওই বধূ ঘটনার কথা বাড়ির কাউকেই জানায়নি। প্রথমদিকে তার জ্বর হলে চিকিৎসা শুরু হয়।
পরে পরিবারের সদস্যরা মারধরের চিহ্ন দেখতে পান। এরপর তাঁকে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রবিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পূর্বস্থলী থানার পুলিশ স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে। মৃতার এক দাদা ইব্রাহিম শেখ বলেন, “বোনের স্বামী অন্য এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বোন তার প্রতিবাদ করলে ওকে বেল্ট দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছি।”