সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীনারায়ণ মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি। শুধু তাই নয়, এক্স হ্যান্ডেলে হিন্দুদের মন জয় করতে রাম নবমীর শুভেচ্ছা দিতে দেখা গেল ট্রুডোর উত্তরসূরিকে। যে কানাডায় একটা সময় খলিস্তানিদের তাণ্ডব চলত হিন্দু মন্দিরে। এবং দুষ্কৃতীদের এই কর্মকাণ্ডে পরোক্ষ মদত দিত শাসকদল। সেখানে এমন ছবি কিছুটা হলেও বেনজির তো বটেই।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি শেয়ার করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, স্বামীনারায়ণ মন্দিরে গিয়ে পুজারির উপস্থিতিতে দেবমূর্তির জলাভিষেক করছেন তিনি। একইসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘গতকাল বাপস টরেন্টো মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের রামনবমীর প্রথম দিনের উৎসবে যোগ দিয়েছিলাম। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। শুভ রামনবমী।’ এর পাশাপাশি কারনির মন্ত্রিসভার সদস্য অনিতা আনন্দ একটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী-সহ কানাডা সরকারের শীর্ষ পদাধিকারীরা একসঙ্গে মন্দিরে উপস্থিত হয়েছেন। অনিতা লিখেছেন, ‘রামের জন্মদিন পালনে প্রধানমন্ত্রীকে স্বামী নারায়ণ মন্দিরে অভ্যর্থনা জানাতে পেরে আনন্দিত। শুভ রামনবমী।’
Canadian Prime Minister Mark Carney Visits BAPS Shri Swaminarayan Mandir, Toronto, ON, Canada https://t.co/QBMcCryqih pic.twitter.com/hYEpL5Izh6
— BAPS (@BAPS) April 7, 2025
তবে শুধু রামনবমীর শুভেচ্ছা নয়, ভারত-কানাডা কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে মার্ক কারনির স্বামীনারায়ণ মন্দির সফরের পিছনে অন্য অঙ্ক দেখছে কূটনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, এর আগের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল খলিস্তানিদের মদত দেওয়ার। এমনকী তাঁর আমলে এই মন্দিরে হামলাও চালায় খলিস্তানিরা। লাগাতার এহেন ঘটনার জেরে ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
So happy to welcome @MarkJCarney on his first go to to @baps_toronto to have a good time the beginning of Lord Rama. A really Blissful Ram Navami! 🕉️🙏🏽 pic.twitter.com/UfgwwVcMCH
— Anita Anand (@AnitaAnandOE) April 6, 2025
তবে সময় বদলেছে। রাজপাট বদল হয়েছে কানাডায়। ক্ষমতায় আসার পরই ট্রুডোর উত্তরসূরি মার্ক কারনি বার্তা দিয়েছিলেন, অতীতের কূটনৈতিক শীতলতা সরিয়ে ভারতের বন্ধু হতে চান তিনি। মসনদে বসার আগেই তাঁর বার্তা ছিল, “আমি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চাই। দিল্লির সঙ্গে অটোয়ার অর্থনৈতিক জোটের কথা আমার অজানা নয়। বাণিজ্যিক সম্পর্কে কানাডা বৈচিত্র চায়। তাই আমি সমমনা দেশগুলোর সহযোগিতা চাই। এক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি করার সুযোগ রয়েছে আমাদের কাছে।” যদিও ভারতও পালটা বার্তা দেয়, চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ ছেড়ে দিলেই সম্পর্কের উন্নতি সম্ভব। এহেন পরিস্থিতিতে খলিস্তানিদের তরফে হামলা চালানো স্বামীনারায়ণ মন্দিরে মার্ক কারনির পুজো ও রামনবমীর শুভেচ্ছা। দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির প্রথম ধাপ হিসেবে দেখছে কূটনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন