স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে কিডনি বিক্রি, টাকা ও গয়না হাতিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট স্ত্রীর!

স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে কিডনি বিক্রি, টাকা ও গয়না হাতিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট স্ত্রীর!

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে কার্যত জোর করে কিডনি বিক্রি। এরপর কিডনি বিক্রির টাকা ও গয়না হাতিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দিলেন স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইলে। দাম্পত্যে এহেন ছলনায় স্তম্ভিত যুবক স্ত্রীর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।

জানা গিয়েছে, সংসারে অনটন, নাবালিকা কন্যার বিয়ের জন্য গয়না কেনারও প্রয়োজন রয়েছে। এমন নানা কারণ দেখিয়ে স্বামীর কাছে দাবি জানিয়েছিলেন একটি কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য। স্ত্রীর দাবি মেনে একটি কিডনি বিক্রি করেন হাওড়ার সাঁকরাইলের যুবক। টাকা হাতে আসার পর সেই টাকায় বেশ কিছুটা দিয়ে গয়না বানান সুপর্ণা বাজ নামের ওই মহিলা। এর কিছুদিন পর টাকা ও গয়না-সহ প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন সুপর্ণা। এই ঘটনায় প্রতারিত যুবক পিন্টু বাজ প্রথমে থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। এরপর স্ত্রীকে খুঁজে পেতে হাই কোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেন। যদিও এই মামলায় মহিলা লিখিতভাবে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন। এবং বর্তমানে প্রেমিকের সঙ্গে স্বামী স্ত্রীর মতো বাস করছেন। কেউ তাঁকে জোর করেননি। এদিকে হেবিয়াস কর্পাস মামলা কার্যকর না হওয়ায় এরপর নিজের কিডনি বিক্রির টাকা ফেরত পেতে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন যুবক।

আদালতে মহিলার স্বামী পিন্টু জানান, গত অক্টোবর মাসে এক রোগীর কথা জানিয়ে কিডনি বিক্রি করার জন্য তাঁকে জোর করেছিলেন সুপর্ণা। সেইমতো প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা ও পরে স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে আরও ২ লক্ষ টাকা পাঠানো হয় রোগীর তরফে। আইনজীবীদের দাবি, স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে তাঁর কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়। সেই টাকা নেওয়ার পর গত ২৩ ডিসেম্বর বাজারে যাওয়ার নাম করে বাড়ি ছাড়েন সুপর্ণা। এদিকে কিডনি বিক্রির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আইনজীবীদের দাবি, এই ঘটনায় সমস্যায় পড়বেন ওই যুবক নিজেও। কারণ এভাবে কিডনি বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। পাশাপাশি, যেহেতু সুপর্ণার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পিন্টুর তরফে টাকা লেনদেনের কোনও প্রমাণ নেই, ফলে পিন্টুর দাবি প্রমাণ করাও বেশ কঠিন।

এদিকে পিন্টুর পরিবারের তরফে জানা যাচ্ছে, সুপর্ণার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পিন্টুর। তাঁদের বিয়েতে পরিবারেরও কোনও অমত ছিল না। যুবকের মায়ের দাবি, কিডনি বিক্রির কথা জানতে পেরে আমরা সকলেই তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলাম। তবে স্ত্রীর চাপে একরকম বাধ্য হয়ে গোপনে এই কাজ করে ছেলে। তবে সেই টাকা নিয়ে স্ত্রী যে এমন প্রতারণা করতে পারে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি যুবক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *