সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিভারের কঠিন অসুখে ভুগছিলেন স্বামী। তাঁকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে লিভারের কিছুটা অংশ দান করেন স্ত্রী। লিভার প্রতিস্থাপনও হয়েছিল, কিন্তু শেষরক্ষা হল না। কয়েকদিনের ব্যবধানেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন দম্পতি। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল পুণে শহরের হাসপাতালে। কী কারণে ওই স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হল? সোমবারের মধ্যে জানতে চেয়ে হাসপাতালকে নোটিস পাঠিয়েছে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্যদপ্তর। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনেই অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছিল। কিন্তু রোগীর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ছিল যে কারণে মৃত্যু হয়েছে। অঙ্গদানের পর স্ত্রী সুস্থই ছিলেন, কিন্তু একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে তিনিও শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যাচ্ছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম বাপু কোমকার। দীর্ঘদিন ধরেই লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মুমূর্ষু স্বামীকে ওই অবস্থায় দেখতে মোটেই ভালো লাগছিল না বাপুর স্ত্রী কামিনী কোমকারের। স্বামীর প্রাণরক্ষার তাগিদে নিজের লিভারের কিছুটা অংশ দান করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। স্বাধীনতা দিবসে বাপুর লিভার প্রতিস্থাপনও করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর থেকেই বাপুর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। ১৭ আগস্ট তিনি মারা যান। অন্যদিকে ২১ আগস্ট কামিনী কোমকারও সংক্রমিত হয়ে পড়েন। চিকিৎসা চলাকালীন তিনি মারা যান।
কোমকার পরিবারের তরফে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে তদন্তের দাবি করা হয়। অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় স্বাস্থ্যদপ্তর। সোমবারের মধ্যে মৃত দম্পতির চিকিৎসা সংক্রান্ত সব নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই অপূরণীয় ক্ষতির জন্য তারা কোমকার পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল। বাপু কোমকারের শরীরে বিভিন্ন রকম শারীরিক জটিলতা ছিল। পাশাপাশি এই লিভার প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে রোগীর পরিবার ও তাঁর স্ত্রীকে জানানো হয়েছিল। লিভার দানের পর অঙ্গদাতা কামিনী কোমকার প্রাথমিক ভাবে সুস্থ ছিলেন, কিন্তু আচমকাই তাঁর সেপটিক শক হয়। বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে যায় তাঁর। এই কারণেই কামিনী কোমকারের মৃত্যু হয়েছে।