‘স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া হবে…’, পথকুকুরদের নিয়ে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে ক্ষুব্ধ রোহিত-পত্নী

‘স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া হবে…’, পথকুকুরদের নিয়ে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে ক্ষুব্ধ রোহিত-পত্নী

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির পথকুকুরদের নিয়ে ‘সুপ্রিম’ রায়ের পরই গোটা দেশে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন মহলের মানুষজন। সরব হয়েছেন পশুপ্রেমীরাও। এবার এই তালিকায় যোগ দিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মার স্ত্রী রীতিকা সজদে।

দিল্লিতে পথকুকুরদের কামড়ে জলাতঙ্ক এবং তার জেরে আমজনতার মৃত্যু, দু’টোই উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এই সংক্রান্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই সোমবার শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দিল্লি-এনসিআর এলাকার সমস্ত পথকুকুরকে অবিলম্বে ধরতে হবে। তাদের নির্বীজকরণ করিয়ে পাঠাতে হবে নিরাপদ আশ্রয়ে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যতটা প্রয়োজন বলপ্রয়োগ করে পথকুকুরদের ধরতে হবে। কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হবে।

এই পরিস্থিতিতে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রোহিত-পত্নী লেখেন, ‘অনেকের কাছে এটা ভয়াবহ হতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে তা নয়। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটা পথকুকুরকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, সূর্যের আলো, স্বাধীনতা সব কিছু ছিনিয়ে নেওয়া হবে ওদের থেকে। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, কামড়ানো বা নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, গোটা প্রাণী সম্প্রদায়কে খাঁচায় ভরে রাখতে হবে।’

রীতিকা আরও লেখেন, ‘এটা কোনও সমাধানই নয়। এমন শাস্তির পরিবর্তে নিয়মিত নির্বীজকরণ এবং প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ করা উচিত। সমাজ যদি এদের রক্ষা না করতে পারে, তাহলে ভবিষ্যতে তাদের কাছ থেকে কিছু আশা উচিত নয়। আজ কুকুরদের নিয়ে, পরে অন্য কাদের নিয়ে এমন হবে জানা নেই।’

উল্লেখ্য, বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘মানবিকতার পথ থেকে সরে এসে সুপ্রিম কোর্ট পথকুকুরদের নিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছে। এই অবলা প্রাণীগুলিকে সমস্যা বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না। আশ্রস্থল, নির্বীজকরণ, টিকাদান এবং কমিউনিটি কেয়ারের মাধ্যমে নিষ্ঠুরতা ছাড়াই রাস্তাঘাট নিরাপদ রাখা সম্ভব।’ আর এবার মুখ খুললেন রীতিকাও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *