স্নানের যোগ্যই ছিল সঙ্গমের জল, ‘ভুল শুধরে’ মহাকুম্ভ নিয়ে নয়া রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সংস্থার

স্নানের যোগ্যই ছিল সঙ্গমের জল, ‘ভুল শুধরে’ মহাকুম্ভ নিয়ে নয়া রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সংস্থার

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সঙ্গমের দূষিত জলে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া। গত মাসের মাঝামাঝি কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায়। সেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদই এবার উলটো কথা বলছে। জাতীয় পরিবেশ আদালতে নতুন রিপোর্ট দিয়ে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বলছে, প্রয়াগরাজের সঙ্গমের জল মহাকুম্ভের সময় স্নানের উপযুক্ত ছিল। ওই জলে বিপজ্জনক ব্যাকটিরিয়া ছিল না।

গত ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জাতীয় পরিবেশ আদালতে একটি রিপোর্ট দিয়ে জানায়, মহাকুম্ভের সময় যে প্রয়াগরাজের সঙ্গমে ডুব দিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে কার্যত গোটা দেশ, সেই সঙ্গমের জল স্নানের অনুপযুক্ত। সঙ্গমের দূষিত জলে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ওই রিপোর্ট নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়ে যায়। সাফাই দিতে আসরে নামতে হয় খোদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। তিনি পালটা দাবি করেন, স্নানের তো বটেই, সঙ্গমের জল পানেরও উপযুক্ত।

দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সেই রিপোর্টের পরও অবশ্য ভক্তদের ভক্তিতে বিশেষ ভাঁটা পড়েনি। বিন্দুমাত্র কমেনি কুম্ভের ভিড়। সরকারের দাবি অনুযায়ী, মেলা শেষ হওয়া কুম্ভে ডুব দিয়েছেন ৬০ কোটি মানুষ। মেলা শেষে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও উলটো কথা বলছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওয়েবসাইটে গত ৭ মার্চ নতুন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন রকম তথ্য উঠে আসছে। তাই নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করার প্রয়োজন পড়েছে।

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদের রিপোর্ট বলছে, “সার্বিকভাবে গোটা সঙ্গম এলাকার হিসাব করলে জলের মান ঠিকই ছিল। স্নানের উপযুক্ত ছিল।” গত ১২ জানুয়ারি থেকে গঙ্গার পাঁচটি জায়গায় এবং যমুনা নদীর দুটি জায়গা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একই জায়গায় আলাদা আলাদা দিনে আবার আলাদা জায়গায় একই দিনে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সপ্তাহে দুবার করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাছাড়া বিশেষ বিশেষ তিথিগুলিতেও জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, সার্বিকভাবে সঙ্গমের জল স্নানের উপযুক্তই ছিল।” এখন প্রশ্ন হল, এই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদই সঙ্গমের জলকে দূষিত বলে ঘোষণা করেছিল কীসের ভিত্তিতে? নতুন করে আবার ওই রিপোর্ট দেওয়ার প্রয়োজনই বা পড়ল কেন?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *