সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকে অংশ নিয়েছিলেন। অপারেশন সিঁদুরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। তবু বায়ুসেনায় স্থায়ী কমিশন মেলেনি। শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হতে হয়েছিল বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার নিকিতা পাণ্ডেকে। শীর্ষ আদালত তাঁকে স্বস্তি দিয়ে জানাল, এখনই ওই সেনা আধিকারিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে না।
উইং কম্যান্ডার নিকিতার দাবি, তিনি বায়ুসেনায় অস্থায়ী কমিশনে নিযুক্ত হন। স্বল্পমেয়াদি কমিশনের পরে তাঁর স্থায়ী কমিশনের আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে বৈষম্য হয়েছে বলে দাবি ওই বায়ুসেনা আধিকারিকের। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছিল। তখনই শীর্ষ আদালত জানায়, পেশার ক্ষেত্রে কাজের অনিশ্চয়তা আধিকারিকদের জন্য ভালো বিষয় নয়। সে ক্ষেত্রে আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বায়ুসেনার ওই মহিলা আধিকারিককে কাজ থেকে সরানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ওই বায়ুসেনা আধিকারিক সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং ‘অপারেশন বালাকোট’-এর সময় যে ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম্সে মোতায়েন ছিলেন। এত গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সত্ত্বেও তাঁকে স্থায়ী কমিশন দেওয়া হয়নি। শীর্ষ আদালত বায়ুসেনার আইনজীবীদের কাছে কারণ জানতে চায়। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, ওই আধিকারিকের আর্জি নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে। তার আগেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পর শীর্ষ আদালত বলে, “স্বল্পমেয়াদি কমিশনে নিযুক্ত আধিকারিকদের জীবন কঠিন। মনের মধ্যে এই ধরনের অনিশ্চয়তা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ভাল না-ও হতে পারে। আমরা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই, তবে সাধারণ মানুষ হিসাবে একটি পরামর্শ দিতে চাই।” এরপরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত চাকরিতে যেন তাঁকে বহাল রাখা হয়।