সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইয়েমেনে হামলার নীল নকশা আগেই ফাঁস করে দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ! স্ত্রী, ভাই এবং অন্যান্যদের গ্রুপ চ্যাটে তিনি শেয়ার করেছিলেন, কীভাবে আকাশপথে হামলা হবে হাউথি জঙ্গিদের ডেরায়। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় মার্কিন মুলুকে। প্রশ্ন উঠছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব যাঁদের হাতে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁরা কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য?
গত শুক্রবার ইয়েমেনের হোদেইদা গভর্নরেটে হাউথিদের জ্বালানির উৎসকে নিশানা করে বিমানহানা চালায় আমেরিকা। আকাশপথে হামলা চালায় পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকম। তার জেরে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন শতাধিক। পরে বিবৃতি দিয়ে সেন্টকমের তরফে জানানো হয়, ‘১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটিতে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে হাউথিরা। ইরানের মদতপুষ্ট হাউথিদের জ্বালানির এই উৎসটি নিশ্চিহ্ন করতে মার্কিন সেনা এই পদক্ষেপ করেছে।’
এই হামলার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে বিখ্যাত মার্কিন সংবাদপত্র দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি রিপোর্ট। সেখানেই বলা হয়, গত জানুয়ারি মাসে প্রতিরক্ষা সচিব হওয়ার পরে মেসেজিং অ্যাপ সিগনালে একটি গ্রুপ তৈরি করেছিলেন হেগসেথ। ঠিক কখন হামলা হবে, কোন বিমানগুলি হামলা চালাবে-সমস্ত তথ্যই ওই গ্রুপে শেয়ার করেছিলেন হেগসেথ। মার্কিন সংবাদপত্রের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে একটি গ্রুপ করেছেন ট্রাম্প। ইয়েমেনে হামলার তথ্য সেই গ্রুপে দেওয়ার পরেই ব্যক্তিগত গ্রুপেও শেয়ার করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব।
এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই তোলপাড় মার্কিন মুলুকে। প্রতিরক্ষা সচিবকে অবিলম্বে সরানো হোক, এমনটাই দাবি করেছেন বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা। সরকারিভাবে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি পেন্টাগন। তবে দিনকয়েক আগে হেগসেথের বিশ্বাসভাজন এক পরামর্শদাতাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ছুটিতে পাঠানো হয়েছে প্রতিরক্ষা দপ্তরের আরও দু’জনকে। তবে প্রশ্ন উঠছে, গোটা বিশ্বে বহু মানুষের নিরাপত্তা নির্ভর করে পেন্টাগনের উপর। তারা যদি এইভাবে গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে, সেটা গোটা পৃথিবীর পক্ষে বিপজ্জনক। এছাড়াও প্রশ্ন উঠছে, পেন্টাগনের চালিকাশক্তি কী তাহলে প্রতিরক্ষা সচিবের পরিবারের হাতে?