সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোর করে স্ত্রীর পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া স্বামীর নিষ্ঠুরতারই পরিচয়। এক মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের। উচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, এটা আসলে স্ত্রীর স্বপ্নকে ধ্বংস করার শামিল।
হাই কোর্টের ইন্দোর বেঞ্চে শুনানি ছিল এক বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার। বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তিনি জানান, ২০১৫ সালে সাজাপুরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এর ঠিক আগেই তিনি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করেছেন। চেয়েছিলেন আরও পড়তে। কিন্তু বিয়ের পর সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন স্বামী। শ্বশুরবাড়ি থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর পড়াশোনা। এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি ওই মহিলা। তিনি পৈতৃক বাড়িতে ফিরে এসে ডিভোর্সের মামলা রুজু করেন। কিন্তু নিম্ন আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। বরং তাঁকে স্বামীর সঙ্গে সংসারজীবন কাটানোরই পরামর্শ দেয় বিচারক। এহেন রায় মানতে না পেরে এরপরই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
এদিন হাই কোর্ট জানিয়েছে, ”এটি একটি এমন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা যেখানে আবেদনকারী ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন। ভবিষ্যতেও মিটমাটের সম্ভাবনা নেই।” সেই সঙ্গেই বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ”এটা সত্যি যে, ২০১৫ সালের ১ মে বিয়ের পর থেকে ১০ বছরে, আবেদনকারী এবং বিবাদী ২০১৬ সালের জুলাই মাসে মাত্র তিন দিন একসঙ্গে ছিলেন। সেই দিনগুলিতে স্ত্রীর অভিজ্ঞতা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। এবং এর পর থেকে তারা আর কখনও একসাথে থাকেননি।”
এরপরই আবেদনকারীর স্বামীর ভর্ৎসনা করে আদালত বলে, ”স্ত্রীকে পড়াশোনা বন্ধ করতে বাধ্য করা অথবা এমন পরিবেশ তৈরি করা যেখানে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন না, এটা বৈবাহিক জীবনের একেবারে শুরুতেই তাঁর স্বপ্ন ধ্বংস করার সমতুল।”