সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুন করার পর স্ত্রীয়ের দেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তী জেলায়। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম সইফউদ্দিন। কয়েকবছর আগে তাঁর সঙ্গে সাবিনা নামে ওই মহিলার বিয়ে হয়। কিন্তু তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক সুখের ছিল না। জানা গিয়েছে, গত বুধবার সাবিনার ভাই সালাউদ্দিন সাবিনাকে বেশ কয়েকবার ফোন করেন। কিন্তু সাবিনা কিছুতেই ফোন ধরছিলেন না। এরপর সালাউদ্দিন তড়িঘড়ি তাঁর দিদির বাড়িতে আসেন। দেখেন বাড়িতে কেউ নেই। দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া। কিছুক্ষণ পর সালাউদ্দিন ওই বাড়ির আশপাশে সইফউদ্দিনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। তাঁকে গিয়ে সাবিনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনও উত্তর দিতে রাজি হননি বলে অভিযোগ। তখনই সালাউদ্দিনের সন্দেহ হয় এবং তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ সইফউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে অভিযুক্ত বারবার তদন্তকারী আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও দু’দিন পর সইফউদ্দিন নিজেই অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন। খুনের পর দেহ লোপাট করতেই সইফউদ্দিন তাঁর স্ত্রীয়ের দেহ টুকরো টুকরো করে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সাবিনার দেহের বেশ কিছু অংশ ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই সইফউদ্দিন এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকজন পণ নিয়ে সাবিনাকে নির্যাতন করতেন। তারা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।