অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে চড়া রির্টানের প্রলোভন। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ৪০ লক্ষ টাকা খোয়া গেল। প্রতরণার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ায়। বুধবার পর্যন্ত ধৃতদের থেকে ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে কোনও চক্র কাজ করছে বলে অনুমান পুলিশের। আরও কেউ যুক্ত আছে কি না খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা সমীর সর্দার (৫২) ও কলকাতার নারকেলডাঙার বাসিন্দা সাজিদ আলি (৩৫)-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ২৬ মে শিবপুরের চ্যাটার্জিহাটের বাসিন্দা এক ব্যক্তি চ্যাটার্জিহাট থানায় ও হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইমে গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে প্রতারিত ব্যক্তি জানান, তাঁকে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ থেকে লাভের প্রলোভন দেখিয়ে দফায় দফায় ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। কিছুদিন পরে তিনি বুঝতে পেরে অভিযোগ জানান। তারপরই তদন্তে নামে হাওড়া সিটি পুলিশ। তাঁরা দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।
দু’দিন আগে প্রথমে সমীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মঙ্গলবার রাতে সাজিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২ জনকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, চ্যাটার্জিহাটের ওই ব্যক্তি স্টক মার্কেটের একটি ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঢুকে পড়েছিলেন। সেখানেই স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে লভ্যাংশ দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়। সেখানে প্রতারিত ব্যক্তিকে বেশি টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তার পর ধৃতরা ব্যক্তিগতভাবে চ্যাটার্জিহাটের ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে।
এমনকী উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার একটি হোটেলে তাঁরা দেখাও করে। সেখানেই প্রতারিত ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় কীভাবে টাকা দিতে হবে। সেই মোতাবেক দফায় দফায় মোট ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। তারপর তিনি বুঝতে পারেনতিনি জালিয়াতির স্বীকার হয়েছেন। অভিযোগ পেতেই তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনায় একটি চক্র কাজ করছে বলে মত তদন্তকারীদের। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশ।