সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশাল মিডিয়ায় বিজেপি বিরোধিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার অসম কংগ্রেসের মুখপাত্র ঋতম সিং। শনিবার ঋতমকে তাঁর গুয়াহাটির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে অসম পুলিশ। বরিষ্ঠ তিন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে চলা মামলা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এই গ্রেপ্তারি বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যে একনায়কতন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ তুলেছে ‘হাত’ শিবির।
জানা গিয়েছে, গত ১৩ মার্চ সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ঋতম। যেখানে ২০২১ সালে ধেমাজি জেলায় এক ধর্ষণ মামলার কথা তুলে ধরেন কংগ্রেস নেতা। ঋতমের দাবি, ‘এই মামলায় তিন অপরাধীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। তাঁরা শাস্তিও পেয়েছে। তবে এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন তিন বিজেপি নেতা। যারা হলেন বিধায়ক মানব ডেকা, দলের প্রাক্তন সভাপতি ভাবেশ কলিতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনে গোহেন। এদের শেষ পর্যন্ত কী হল? দেশের আইন কী সকলের জন্য সমান?’
কংগ্রেস নেতার এই পোস্ট নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই মানব ডেকার স্ত্রী ঋতমের বিরুদ্ধে লখিমপুর জেলা পুলিশের অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গুয়াহাটিতে গিয়ে ঋতমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, বিধায়কের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঋতমকে গ্রেপ্তার করে লখিমপুরে নিয়ে আশা হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। লোকসভার উপদলনেতা গৌরব গগৈ বলেন, ঋতমের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের কাছে কোনও ওয়ারেন্ট ছিল না, এমনকি তাঁকে কোনও নোটিস ও দেওয়া হয়নি। পুলিশ ওনার বাড়িতে এসেছে জেনে আমি নিজে ওঁর বাড়ি যাই। আমার উপস্থিতিতেই টেনে-হিঁচড়ে জিপে তোলা হয় ঋতমকে। এমনকী আমার সঙ্গে কথা বলারও সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এই ঘটনা যখন ঘটছে তখন অসমের গোলাঘাটে পা রেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই প্রেক্ষিতেই সোশাল মিডিয়ায় সরব হন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। তিনি লেখেন, ‘অমিত শাহ কী জানেন হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বে রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের অপব্যবহার করা হচ্ছে? অমিত শাহ কী জানেন, কিছুদিন আগে দিনের আলোয় একজন কনস্টেবলকে নৃশংসভাবে মারধোর করে বিজেপির কিছু গুন্ডা। অথচ এখনও সেই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি হিমন্তের পুলিশ। অথচ বিরোধীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত অসম পুলিশ।’