সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনম কী বাংলাদেশে? নাকি মেঘালয়ের কোথাও লুকিয়ে রাখা হয়েছে ইন্দোরের এই তরুণীকে? ১১ দিন পর ইন্দোরের রাজা রঘুবংশীর দেহ উদ্ধারের পর তাঁর স্ত্রী সোনমের সন্ধানে কোমর বেঁধে নেমেছেন তদন্তকারীরা। যে জায়গা থেকে ওই দম্পতি নিখোঁজ হন সেখান থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব মাত্র ৩ কিমি। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুষ্কৃতীরা সোনমকে অপহরণ করে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছে। সোনমের খোঁজ পেতে সিবিআইয়ের সাহায্য চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব।
গত ১৯ মে সোনামের সঙ্গে বিয়ে হয় রাজার। ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে ঘুরতে যান নবদম্পতি। ২৩ মে চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছান তাঁরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছানোর পর থেকেই খোঁজ মিলছে না দম্পতির। ঘটনার ১১ দিন পর চেরাপুঞ্জির কাছে একটি জলপ্রপাতের খাদ থেকে উদ্ধার হয় যুবকের দেহ। সেখান থেকেই একটি রক্তমাখা দা এবং বর্ষাতি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের ধারণা, ওই বর্ষাতি দম্পতিরই। পুলিশ সুপার বিবেক সিয়াম জানান, মৃতের মানিব্যাগ, সোনার চেন, আংটি বা মোবাইল— কিছুই পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ডাকাতির জন্যই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অপরাধীদের খুঁজতে ও সোনমকে উদ্ধার করতে আশপাশের ৫০ কিলোমিটার এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তাছাড়া এক মাসে এক মাসে ডবল ডেকার সেতুতে যত গাড়ি এসেছিল সেই সব গাড়ির তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে এক সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। ৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ওই দম্পতি কালো জ্যাকেট পরে রয়েছেন, ভিতরে সাদা শার্ট। স্কুটারে এসে হোমস্টের ভিতরে ঢুকে রিসেপশনে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন রাজা। কিছুক্ষণ পর রাজা বাইরে এসে স্যুটকেস খুলে কয়েকটি জিনিস তাঁর স্ত্রীর হাতে দেন। জানা যাচ্ছে, ওই সিসিটিভি ফুটেজ ২২ মের। অর্থাৎ যেদিন তাঁরা নিখোঁজ হয়েছিলেন তার আগের দিনের।
রাজার মৃতদেহ উদ্ধারের পর তা ইন্দোরে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সোনমকে খুঁজতে প্রযুক্তির সাহায্যও নিচ্ছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। সোনমের ভাই ইতিমধ্যেই শিলং গিয়েছেন। গোটা ঘটনার রহস্য সমাধানে এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। ইতিমধ্যেই তিনি অমিত শাহকে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে খবর।