ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস): ৩৮৭/১০ (জো রুট ১০৪, কার্স ৫৬, বুমরাহ ৭৪/৫, সিরাজ ৮৫/২)
ভারত (প্রথম ইনিংস): ৩৮৭/১০ (রাহুল ১০০, পন্থ ৭৪, ওকস ৮৪/৩, আর্চার ৫২/২, স্টোকস ৬৩/২)
ইংল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস): ২/০ (বুমরাহ ২/০)
ইংল্যান্ড এগিয়ে ২ রানে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়…। লর্ডস টেস্টের ট্যাগ লাইন এমন হতেই পারে। লড়াই সেখানে সেয়ানে সেয়ানে। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৩৮৭ রানের লক্ষ্যে ভারতের ইনিংসও শেষ হল একই রানে। অর্থাৎ, লিড নিতে পারল না টিম ইন্ডিয়া। অথচ একটা সময় মনে হয়েছিল, সহজেই ইংল্যান্ডের রান পেরিয়ে যাবে ‘গিল বাহিনী’। একটা সময় ভারতের রান ছিল ৬ উইকেটে ৩৭৬। সেখান থেকে মাত্র ১১ রানে চার উইকেট খুইয়ে লিড নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হল। দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান বিনা উইকেটে ২।
৩ উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন কেএল রাহুল এবং ঋষভ পন্থ। তাবড় ইংরেজ বোলারদের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করেন দু’জন। লর্ডসে আরও একটা সেঞ্চুরি করেন রাহুল। সেই সঙ্গে নতুন ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় ব্যাটার। দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ঐতিহাসিক লর্ডসে দু’টি সেঞ্চুরি করলেন। যে রেকর্ড আগে ছিল শুধুমাত্র দিলীপ বেঙ্গসরকরের নামে। প্রাক্তন ক্রিকেটার অবশ্য তিনটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। যদিও সেঞ্চুরির পর অবশ্য শোয়েব বশিরের বলে আউট হন তিনি।
রাহুলের আগে অবশ্য লাঞ্চের ঠিক আগেই তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে রানআউট হয়েছেন পন্থ (৭৪)। যদিও রাহুলের সঙ্গে তাঁর ১৪১ রানের পার্টনারশিপ ভারতকে ইংল্যান্ডের রানের কাছাকাছি পৌঁছতে অনেকটাই সাহায্য করল। এরপর রাহুল আউট হওয়ার পর ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং নীতীশ রেড্ডি। তাঁদের জুটিতে উঠল মহাগুরুত্বপূর্ণ ৭২ রান। ব্যক্তিগত ৩০ রানে সাজঘরে ফেরার পর ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে স্কোর বোর্ডে আরও পঞ্চাশটা রান জুড়লেন জাদেজা। ভারতের রান যখন ৩৭৬, ক্রিস ওকসের বলে ৭২ রানে আউট হলেন জাড্ডু। এরপর একে একে ফিরে যান আকাশ দীপ (৭), জশপ্রীত বুমরাহ (০) এবং ওয়াশিংটন (২৩)। ভারতের ইনিংস ভেঙে পড়ে ৩৮৭ রানে। উল্লেখ্য, বছর দশেক আগেও প্রথম ইনিংস টাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। সেবার লিডসে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। দুই দলই প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৫০ রান।
ইংল্যান্ড যখন দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে, তখন দিন শেষ হতে বাকি মাত্র ৭ মিনিট। শুভমান বল তুলে দিলেন বুমরাহর হাতে। কিন্তু দু’টো বল যেতে না যেতেই দেখা গেল দুই ইংরেজ ব্যাটার নানান বাহানায় সময় নষ্ট করছেন। এই ঘটনায় রীতিমতো তেতে ওঠে ভারতীয় শিবির। অধিনায়ক গিলও অভিযোগ জানান আম্পায়ারকে। ইংরেজদের এহেন আচরণে টেস্ট ক্রিকেট কতটা ধোপদুরস্ত থাকল, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেল। কিছুক্ষণ বচসার পর খেলা শুরু হলেও প্রথম ওভারে উইকেটহীন থাকলেন বুমরাহ।