স্টাফ রিপোর্টার: চতুর্থীর দিন কলকাতায় ঝটিকা সফরে আসা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুজো উদ্বোধন এবার বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য সংঘাতে নয়া মাত্রা যোগ করেছে। এনিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। কথা ছিল, মধ্য কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার একটি পুজোরও উদ্বোধন হবে শাহের হাতে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেখানে পুজো উদ্বোধন বাতিল হয়েছে, সেখানে যাননি শাহ। যা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে প্রবল কোন্দল চলছে বলে খবর।
তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছিল, লোক হবে না, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের এমন রিপোর্ট পেয়েই দক্ষিণ কলকাতার সেবক সংঘের পুজো উদ্বোধন বাতিল করেছেন অমিত শাহ। আবার গেরুয়া শিবিরের মধ্যে অন্য গুঞ্জনও চলছে। সেবক সংঘের পুজো পুরনো বিজেপি নেতা মৃণালকান্তি দাসের যিনি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা, বর্তমান সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলেই পার্টিতে পরিচিত। তাই দলের ভিতরেই প্রশ্ন উঠেছে, মৃণালকান্তি আদি বিজেপি নেতা বলেই কি তাঁর পুজোয় অমিত শাহ গেলেন না? বঙ্গ বিজেপি শিবিরের একাংশের মত, শাহকে পুজো উদ্বোধনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করেছে দলের ‘ক্ষমতাসীন’ শিবির। শমীক শিবিরও এমন ঘটনা ঘটায় ক্ষুব্ধ বলে শোনা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, উত্তর কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজোয় শাহকে নিয়ে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুজো উদ্বোধনে শাহকে কলকাতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ মূলত শুভেন্দুরই। সেই পুজোয় আবার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যাননি। অথচ, শাহের সফরসঙ্গী ছিলেন সুকান্তই। শাহর সঙ্গে সমস্ত জায়গায় থাকার কথা ছিল সুকান্তর। কিন্তু সেখানে তাঁর পরিবর্তে শুভেন্দুকে দেখা গিয়েছে। আর শমীক রাজ্য সভাপতি হিসেবেই প্রোটোকল অনুযায়ী ছিলেন। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় সুকান্তর না যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
গেরুয়া শিবিরের একাংশের বক্তব্য, পুজো উদ্বোধনে এসে কার্যত দায়সারা সফর করেছেন অমিত শাহ। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় ছিলেন মিনিট ১৫। আর সল্টলেক ইজেডসিসিতে দলের পুজোয় মাত্র পাঁচ মিনিট সময় দিয়েছেন। তবে ইজেডসিসির পুজোতেও মূলত নব্য বিজেপি নেতারা রয়েছেন। কাজেই শাহকে দিয়ে পুজো উদ্বোধনে দলের নব্যরাই জিতল বলে মনে করছে পদ্ম শিবিরের একাংশ।