সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের প্রশ্নের মুখে মেটা ইউজারদের গোপনীয়তা! হোয়াটসঅ্যাপের প্রাক্তন নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান আতাউল্লা বেগ এমনই অভিযোগ তুলে সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেছেন। তাঁর দাবি, নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্বলতা যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাকে অবহেলা করা হয়েছে। এর ফলে ইউজারদের ডেটা সুরক্ষিত থাকছে না।
২০২১ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন বেগ। এখন তিনি আর সেই দায়িত্বে নেই। বেগের অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপ সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় ফাঁক রয়েছে। আর এই দুর্বলতার দিকটি বারবার সংস্থার সিনিয়রদের তিনি জানাচ্ছিলেন। এমনকী মেটার সিইও খোদ মার্ক জুকারবার্গকেও জানানো হয়। কিন্তু তাতে নাকি কাজ হয়নি।
তাঁর দাবি, প্রায় হাজার দেড়েক মেটা ইঞ্জিনিয়াররা হোয়াটসঅ্যাপের ইউজারদের স্পর্শকাতর তথ্য ‘অ্যাক্সেস’ করতে পারেন। ফলে তা চুরি করা কিংবা সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। বিশেষ করে আইপি অ্যাড্রেস, কনট্যাক্টস, প্রোফাইল ছবি। ১১৫ পাতার আবেদনপত্রে বিস্তারিত জানানোর পরও সেভাবে কান করেনি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ তেমনই।
যদিও সব অভিযোগ উড়িয়েছে মেটা। উলটে প্রশ্ন তোলা হয়েছে বেগের ভূমিকা ও যোগ্যতা নিয়ে। সংস্থার এক মুখপাত্র সিএনবিসির সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ”দুঃখজনক হল, কোনও কোনও প্রাক্তন কর্মী যাঁদের চাকরি চলে যায় খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য, তাঁরা প্রকাশ্যে ভুয়ো দাবি তুলতে থাকেন। উদ্দেশ্য, আমাদের দলের কঠোর পরিশ্রমকে মিথ্যে প্রমাণ করা। আমরা মানুষের গোপনীয়তা রক্ষায় আমাদের শক্তিশালী রেকর্ডের উপর আমরা গর্বিত।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে ৭১ লক্ষেরও বেশি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। জানা যাচ্ছে, ওই সকল অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বিভিন্ন ধরনের সাইবার প্রতারণার কাজ পরিচালনা করা হত। পাশাপাশি, যুক্ত ছিল ডিজিটাল অ্যারেস্টের মতো ঘটনাতেও। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাইবার জালিয়াতি ঠেকানোর জন্য এই পদক্ষেপ করেছে মেটা।