সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে বাতিল এসএসসির ২০১৬ সালের ২৬ হাজারের প্যানেল। ফেরত দিতে হবে ‘ বেতনও। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার পর্যবেক্ষণ, ।
কলকাতা হাই কোর্টের রায়ই ঠিক। গোটা প্রক্রিয়াই অস্বচ্ছ। বড় মাপের দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বলেন, “গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া ভুলে ভরা। এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেল বাছাই প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ। তাই কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপে করা উচিত নয়। দাগি চাকরিরতদের চাকরি যাওয়াই উচিত।” তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল ‘যোগ্য-অযোগ্য’
দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল, কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বাতিল হয়েছিল ২০১৬-র এসএসসি প্যানেল। মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কোর্টের কলমের খোঁচায় চাকরি হারিয়েছিলেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মী। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শীর্ষ আদালতে দফায় দফায় সেই মামলার শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাই কোর্টের চাকরি বাতিল এবং বেতন ফেরতের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। তারপর থেকে দফায় দফায় শুনানি চলছিল।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ছিল শেষ শুনানি। তখন সিবিআই জানিয়েছে, তারা চাইছে, কলকাতা হাই কোর্টের ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় বহাল থাকুক। স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, র্যাংক জাম্প বা প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য থাকলেও ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য তাদের কাছে নেই। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, একসঙ্গে এতজন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হলে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। সবপক্ষের সওয়াল শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। আজ চূড়ান্ত রায় শোনালেন তিনি।