‘সুপ্রিম’ রায়ে চাকরিহারা শান্তিপুরের শিক্ষক জামাই, অঝোরে কান্না শ্বশুরের!

‘সুপ্রিম’ রায়ে চাকরিহারা শান্তিপুরের শিক্ষক জামাই, অঝোরে কান্না শ্বশুরের!

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: উচ্চশিক্ষিত পরিবার। ছেলে পেশায় স্কুলশিক্ষক। তা দেখে সম্বন্ধ করে ওই ছেলের সঙ্গে নিজের মেয়ে বিয়ে দিয়েছিলেন। ৯ মাসের ছোট্ট ফুটফুটে নাতনিও রয়েছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যেন সব তছনছ। এক নিমেষে স্কুলশিক্ষক জামাইয়ে চাকরিহারা হওয়ায় চোখে জল শ্বশুরের। সকলের সামনেই রাস্তাতেই অঝোরে কাঁদলেন তিনি। কীভাবে চলবে মেয়ের সংসার? এই ভাবনায় মাথার ঠিক রাখতে পারছেন না বৃদ্ধ।

নদিয়ার শান্তিপুরের সিদ্ধেশ্বরীতলার বাসিন্দা অমিত দেব। শিলিগুড়িতে একটি স্কুলের শিক্ষক তিনি। শিবু চট্টোপাধ্যায়ের সন্তান সাথীর সঙ্গে বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় অমিতের। শিবুবাবু নিজে দাঁড়িয়ে থেকে চারহাত এক করেন। এক কন্যাসন্তানের বাবা-মা অমিত ও সাথী। মেয়ের বয়স ৯ মাস। সাথী বিএড প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ছিল এসএসসি মামলার রায়দান। তাই সকাল থেকেই শিবুবাবুর নজর ছিল টেলিভিশনের পর্দায়। বেলা বাড়তে না বাড়তেই ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কলমের এক আঁচড়ে সরকারি চাকরিজীবী থেকে কর্মহারা অমিত। দুঃসংবাদ পেয়ে নিজেকে সামলে রাখতে পারছেন না শিবুবাবু। চোখের জল যেন বাঁধ মানছে না তাঁর।

একসময় রেলে চাকরি করতেন শিবুবাবু। কার্যত সর্বস্বান্ত হয়েই মেয়েকে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়েছিলেন। বছর পাঁচেক আগে অবসর নেন। বর্তমানে পেনশনের টাকাই ভরসা তাঁর। এই পরিস্থিতিতে জামাই চাকরিহারা হওয়ায় যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছেন তাঁর। কীভাবে স্ত্রী ও মেয়ের খরচ সামলাবেন অমিত? তা ভেবেই চোখে জল শ্বশুর শিবুর। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *