সুপ্রিম নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! ফতেহপুরে তিন খুনের ঘটনায় বুলডোজার অ্যাকশন যোগীর পুলিশের

সুপ্রিম নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! ফতেহপুরে তিন খুনের ঘটনায় বুলডোজার অ্যাকশন যোগীর পুলিশের

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাস্তা না ছাড়ায় বাইক আরোহী তিন জনকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দিয়েছিল ট্রাক্টর সওয়ারিরা। সেই ঘটনাতেই এবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুরনো পন্থা অবলম্বন করল যোগীর পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধ সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলায় অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে বুলডোজার চালাল পুলিশ ও প্রশাসন।

মঙ্গলবার সকালে ফতেহপুরের হাতগাম থানা এলাকার তাহিরাপুর মোড়ের কাছে তিন খুনের ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায়। ভাই ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাইকে করে কোথাও যাচ্ছিলেন পাপ্পু সিং। ওই একই রাস্তা ধরে ট্রাক্টরে করে আসছিলেন এলাকার প্রাক্তন প্রধান মন্নু সিং ও তাঁর সহযোগীরা। অভিযোগ, ওই ট্রাক্টরকে রাস্তা না ছাড়ার অভিযোগে রাস্তাতেই পাপ্পুর সঙ্গে বচসা বাধে মন্নুর। সেই সময় হঠাৎ বন্দুক নিয়ে বাইক আরোহীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে অভিযুক্ত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বুলডোজার অভিযানের দাবিতে সরব হন গ্রামবাসীরা। এরপরই বুধবার সকালে দেখা যায়, অভিযুক্ত মন্নুর বোন ও ছেলে জ্ঞান সিং-এর বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করেছে পুলিশ ও প্রশাসন। এই ঘটনায় পুলিশের দাবি, ওই বাড়ি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল, যার জেরেই তা ভেঙে ফেলা হয়েছে।

পাশাপাশি পুলিশের তদন্তে জানা যাচ্ছে, পাপ্পু সিংয়ের মা রামদুরালি সিং বর্তমানে ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান। এই পরিবারের সঙ্গে মন্নু সিংয়ের পরিবারের বিবাদ দীর্ঘদিনের। তদন্তকারীদের অনুমান, মঙ্গলবার সকালে রাস্তার মাঝে বচসার সময় পুরনো বিবাদ থেকেই এই হামলা চালায় মন্নু। যার জেরেই মৃত্যু হয় তিন জনের। ঘটনায় প্রাক্তন প্রধান-সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে এবং তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে সুপ্রিম হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও যোগীর পুলিশের এই বুলডোজার অভিযান নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে আইনের পরোয়া না করে বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তের বাড়ি। কড়া সুরে আদালত জানিয়েছিল, রাজ্য প্রশাসনের কোনও অধিকার নেই বিচারকের ভূমিকায় বসে অভিযুক্তর বিচার সম্পন্ন হওয়ার আগেই বেসরকারি ও বাণিজ্যিক সম্পত্তিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার। এইসঙ্গে শীর্ষ আদালত বেআইনি ও দখলীকৃত নির্মাণ ধ্বংসের ক্ষেত্রে গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছিল। জানানো হয়েছিল, বাড়ি ভাঙার কমপক্ষে ১৫ দিন আগে নোটিস দিতে হবে। করতে হবে ভিডিও রেকর্ডিং। তবে সে সবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফের যোগীর পুলিশের বুলডোজার অভিযান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *