বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বড় জয় পেল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০১৬-র নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশের পরীক্ষার ওএমআর প্রকাশ করার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। সিবিআইয়ের হাতে থাকা ওএমআর প্রকাশের আবেদন জানিয়ে মামলা করে চাকরিহারাদের মধ্যে যাঁরা চিহ্নিত দাগি নন, তাঁদের একাংশ। ওএমআর প্রকাশের বিষয়টি হাই কোর্টকে বিবেচনার ভার দিক শীর্ষ আদালত, আবেদন জানান মামলাকারী আইনজীবী। কিন্তু শুক্রবার তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেয় বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, নতুন করে দরজা খোলার প্রয়োজন নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে এসএসসি। বুধবারই সেই পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশম ও ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা হবে। গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্যে ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেলের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়।
এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত ৩০ মে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও পরীক্ষা না দিয়ে চাকরির দাবিতে অনড় এক শ্রেণির চাকরিহারা। তাই ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় চিহ্নিত যোগ্য চাকরিহারাদের একাংশ। কিন্তু এসএসসি নিয়ে এখন আর কোনও আবেদন শুনবে না বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। এদিন তাঁদের দাবি ছিল, যেহেতু তাঁরা চিহ্নিত যোগ্য। তাই তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক। এক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা ওএমআর। তা প্রকাশ করা হোক। কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায়। তবে এর ফলে কারা ‘দাগি’ আর কারা ‘দাগি’ নন, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে কোনও কোনও মহল।